• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০১৯, ১২:১৮ পিএম

পানি সংকটে ভালুকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

পানি সংকটে ভালুকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
ভালুকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ছবি: সংগৃহীত

 

ময়মনসিংহ ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পানি নেই ৩৩ দিন ধরে। আরও এক মাসের মধ্যে পানি সমস্যা সমাধানের কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ। হাসপাতালটির বহির্বিভাগ, জরুরী বিভাগ, প্রসূতি বিভাগ ও আবাসিক এলাকায় চলছে পানির জন্য হাহাকার।

জানা যায়, গত বছরের অক্টোবরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পানির মোটরটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পুরো হাসপাতালে ৬ দিন পানি সরবরাহ বন্ধ ছিল। এরপর ময়মনসিংহ স্বাস্থ্য ও প্রকৌশল বিভাগ একটি নতুন মোটর স্থাপন করে। ২৪ ডিসেম্বর থেকে মোটরটি দিয়ে ময়লা পানি উঠতে থাকলে ট্রমা সেন্টারের নষ্ট মোটরটি মেরামত করে হাসপাতালের আন্তর্বিভাগ ও জরুরী বিভাগে সীমিত আকারে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। কিন্তু হাসপাতালের জরুরী বিভাগ, প্রসূতি বিভাগ, আবাসিক এলাকায় পানি না থাকায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন চিকিৎসক, রোগী, আবাসিক এলাকায় বসবাসরত চিকিৎসক ও কর্মচারীদের পরিবারের লোকজন।

জরুরী ও প্রসূতি বিভাগে পানি না থাকায় সিজারিয়ান অপারেশন, গর্ভবতী মায়ের প্রসবের পর পানির জন্য দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। রোগীর আত্মীয়-স্বজন, অভিভাবকরা বাইরে থেকে পানি এনে রোগীদের জরুরী পানির সমস্যা মেটাচ্ছেন।

হাসপাতালের ১৮ টি ফ্ল্যাটের মধ্যে বর্তমানে ১৫ টি ফ্লাটে অফিসার ও কর্মচারীদের পরিবার বসবাস করছে। তারা খাবার, গোসল ও দৈনন্দিন ব্যবহারের পানি মসজিদ ও আশেপাশের চাপকল থেকে সংগ্রহ করছেন।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে হাসপাতালের আবাসিক ভবনের কয়েকজন কর্মচারী জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কোয়ার্টারে থাকেন না। তাই তিনি পানির সমস্যার বিষয়টি বুঝতে পারছেন না। পানি না থাকায় বসবাসকারীরা কি পরিমাণ কষ্টে আছে তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মোস্তাক আহাম্মেদ জানান, মোটরের পানিতে ময়লা উঠায় হাসপাতালের আন্ত ও জরুরী বিভাগে বিকল্প উপায়ে সীমিত পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। আবাসিক ও বিভিন্ন বিভাগে পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। পানি সমস্যার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।  

ময়মনসিংহ স্বাস্থ্য ও প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী দুলাল চন্দ্র সরকার জানান, ভালুকা হাসপাতালের পানি সমস্যার বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদফতরকে জানানো হয়েছে। নতুন করে মোটরের বোরিং করতে ১২ লাখ টাকা ব্যয় হবে। বরাদ্ধ পাওয়ার পর টেন্ডার হবে তারপর সমস্যার সমাধান হবে।


সাইসে