• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৯, ২০২১, ০৫:২৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১৯, ২০২১, ০৫:২৭ পিএম

প্রসবব্যথা নিয়ে পরীক্ষায় বসলেন, ঘণ্টা না যেতেই জন্ম দিলেন সন্তান

প্রসবব্যথা নিয়ে পরীক্ষায় বসলেন, ঘণ্টা না যেতেই জন্ম দিলেন সন্তান
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরীক্ষায় অংশ নেন মেহেরুন্নেসা

নেত্রকোনার মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রসবব্যথা নিয়ে আলিম পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন মেহেরুন্নেসা নামে ১৯ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী। তবে পরীক্ষার এক ঘণ্টা না যেতেই কন্যাসন্তান জন্ম দেন তিনি।

রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সন্তান প্রসব করেন মেহেরুন্নেসা। তিনি মদন পৌর সদরের সাজন মিয়ার স্ত্রী। উপজেলার মুজাফফর আলিম মাদরাসা থেকে এবার আলিম পরীক্ষায় অংশ নেন।
 
জানা গেছে, আলিম দ্বিতীয় বর্ষে থাকতেই সাজনের সঙ্গে মেহেরুন্নেসার বিয়ে হয়। বিয়ের পরও লেখাপড়া চালান তিনি। শনিবার রাতে প্রসবব্যথা শুরু হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। রোববার তার বালাগাত মানতিক বিষয়ের পরীক্ষা ছিল। এদিন হাসপাতালে থেকেই পরীক্ষায় অংশ নেন তিনি। তবে এক ঘণ্টা পরীক্ষা দেওয়ার পর প্রসবব্যথা বাড়তে থাকে। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি কন্যাসন্তান জন্ম দেন।

শিক্ষার্থীর বাবা বেলাল আহমেদ বলেন, গত বছর আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছে। গর্ভবতী অবস্থায় চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। শনিবার রাতে প্রসবব্যথা শুরু হলে হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেই সন্তান জন্ম দেয় মেয়েটি।

মোজাফফর আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ শামসুল ইসলাম তালুকদার বলেন, করোনাকালীন মাদরাসা বন্ধ হলে অনেক ছাত্রী ঝরে যায়। মেহেরুন্নেসার ইচ্ছাশক্তির কারণে লেখাপড়ার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে পরীক্ষায় অংশ নেন।

মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মইনুল হোসেন বলেন, অত্যন্ত সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে মেয়েটি। যেকোনো সমস্যায় তার পাশে থাকবে স্বাস্থ্য বিভাগ।

এমইউ