• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২২, ০৮:৪৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ১০, ২০২২, ০৮:৪৮ পিএম

চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডারের পেছনে যৌনলালসা

চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডারের পেছনে যৌনলালসা

খুলনার কয়রা উপজেলার বামিয়া গ্রামের চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডারের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। বিকৃত যৌনলালসা, প্রতারণামূলক আর্থিক লেনদেন ও পরকীয়ার জেরেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন খুলনার পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ মাহবুব হাসান।

সোমবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে চাঞ্চল্যকর এ তথ্য জানান তিনি। এ মামলায় এক আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
 
আরো সাত আসামি বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে রয়েছে। তারা হলো- মো. সাইফুল ইসলাম বাবলু, আল-আমিন হোসেন, আসলাম সর্দার, আব্দুল ওহাব হক, তাসলিমা, শামীমুল ইসলাম অঞ্জন, মোস্তফা কামাল।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, ট্রিপল মার্ডারের অন্যতম আসামি আব্দুর রশিদ গাজী। সে খুব চতুর। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে সে পলাতক ছিল। টিমওয়ার্ক ও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তাকে ৮ জানুয়ারি যশোরের অভয়নগর উপজেলা থেকে আটক করা হয়। পরে আদালতে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক এ মামলায় নারীসহ আরো সাতজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

স্বীকারোক্তিতে আব্দুর রশিদ গাজী জানিয়েছে, আরো দুই আসামি জিয়া ও রাজিয়া সুলতানার পরকীয়া সম্পর্কে বাধা প্রদানকারী হাবিবকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য পরিকল্পনা করা হয়। রাত ১২টার দিকে জিয়া ও শামসুর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী হাবিব, তার স্ত্রী বিউটি ও কন্যা হাবিবা সুলতানা টুনিকে হাত-পা বেঁধে ফেলে। পরে স্ত্রী ও কন্যাকে ধর্ষণ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পানিতে ফেলে দেয়। হত্যাকাণ্ডের সময় ছয়জন আসামি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল।

পুলিশ সুপার আরো বলেন, নিহত হাবিবুরের সঙ্গে বাকি আসামিদের আর্থিক লেনদেনও ছিল। প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন হাবিবুর। হত্যার বিউটি ও তার মেয়ে টুনির লাশ পানিতে ফেলে দেওয়ায় ধর্ষণের আলামত নষ্ট হয়ে যায়।

চাঞ্চল্যকর এ মামলার বাকি আসামিদের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে খুব দ্রুত আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ মাহবুব হাসান।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৫ অক্টোবর রাতে হাত-পা বেঁধে ও গলা কেটে হত্যা করা হয় হাবিবুর রহমান, তার স্ত্রী বিউটি ও কন্যা হাবিবা সুলতান টুনিকে। হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয় বিউটি ও টুনিকে। ২৬ অক্টোবর সকালে স্থানীয় আব্দুল মাজেদের বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে তিনজনের ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে নিহতের মা কোহিনুর বেগম অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ঐ ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।

ইউএম