• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২, ২০২২, ০২:০৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২, ২০২২, ০২:০৬ পিএম

অবশেষে ভর্তি হলেন সেই নিপুণ

অবশেষে ভর্তি হলেন সেই নিপুণ

অবশেষে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শারীরিক শিক্ষা এবং ক্রীড়াবিজ্ঞান (পিইএসএস) বিভাগে ভর্তি হয়েছেন সেই নিপুণ বিশ্বাস।

বুধবার যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের বিশেষ নির্দেশে নিপুণের ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন যবিপ্রবির জনসংযোগ বিভাগের সহকারী পরিচালক আবদুর রশীদ অর্ণব।

সময়মতো উপস্থিত হতে না পারা নিপুণকে ভর্তির ব্যাপারে মঙ্গলবার বিকেলে যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটির জরুরি সভা হয়। সভায় নিপুণের ভর্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

নিপুণ বিশ্বাসের বাড়ি নীলফামারীর সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাপে। তার বাবা প্রেমানন্দ বিশ্বাস পেশায় নরসুন্দর (নাপিত)। মা দীপালী বিশ্বাস গৃহিণী। দুই ভাইয়ের মধ্যে নিপুণ বড়। ছোটবেলা থেকে আর্থিক অনটনের শত বাধা পেরিয়ে নীলফামারীর মশিয়ুর রহমান কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন মেধাবী নিপুণ। আর ছোট ভাই এবার স্থানীয় একটি স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষা দেবেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার বিকেলে ২০২০-২১ সেশনে তৃতীয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দেয় যবিপ্রবির স্বাস্থ্য বিজ্ঞান অনুষদের শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগ। তবে নিপুণ বিশ্বাস এ বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে জানতে পারেন রোববার রাত সাড়ে ১১টায়। বিজ্ঞপ্তিতে ভর্তির জন্য বিবেচিত শিক্ষার্থীদের বলা হয়, সোমবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যে ভর্তি হতে হবে। কিন্তু কী করে সম্ভব? ভর্তি-সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে নিপুণ তখন নীলফামারীর লক্ষীচাপের নিজ বাড়িতে। ওই রাতে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে টাকা ধার করে নীলফামারী থেকে যশোরের উদ্দেশে রওনা দেন নিপুণ। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছাতে তার ১২টা পেরিয়ে যায়।

বিজ্ঞপ্তি অনুসারে নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থিত হতে না পারায় ভর্তি হতে পারেননি নিপুণ। চোখের পানি ফেলতে ফেলতে অবস্থান করেন ক্যাম্পাসে। পরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ সংবাদ প্রকাশ হলে নিপুণকে ভর্তি করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

ইউএম