• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২২, ০২:৩৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২২, ০২:৩৭ পিএম

হাতি শাবককে নির্যাতনের অভিযোগে দুই কর্মকর্তাকে শোকজ

হাতি শাবককে নির্যাতনের অভিযোগে দুই কর্মকর্তাকে শোকজ

হাতিকে নির্মম নির্যাতনের মাধ্যমে পোষ মানাতে মান্ধাতার আমলের এ পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে, এ ধরনের প্রতিবেদন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে তা দৃষ্টিগোচর হওয়ায় দুই কর্মকর্তাকে সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) স্ব-প্রনোদিত হয়ে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন মৌলভীবাজার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আলী আহসান।

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় হাতি শাবককে প্রশিক্ষণের নামে মান্ধাতার আমলের নিষ্ঠুর নির্যাতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পশুর প্রতি এ ধরনের নিষ্ঠুর আচরণ কেন কর্তৃপক্ষের নিস্ক্রিয়তায় বেআইনি হিসেবে গণ্য হবে না এবং একই সঙ্গে কেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না এই মর্মে জুড়ী থানার ওসি ও বন্যাপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে ১৫ মার্চের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে নির্দেশ দেন তিনি।

আদালত আদেশে প্রশিক্ষণের নামে হাতিকে এ ধরনের নির্যাতনে কারা জড়িত তাদের নাম ও ঠিকানা, স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত নির্দয় নির্যাতনে কত হাতি মারা গেছে, কীভাবে হাতি সংগ্রহ করা হয়েছে (তার মধ্যে ক’টি পালিত ও ক’টি বন্য), মৌলভীবাজার জেলায় হাতি লালন পালন এবং প্রশিক্ষণে কজনকে লাইসেন্স দেয়া হয়েছে ও হাতির প্রতি নির্দয় নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধে কি ধরনের আইনি প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তা সরেজমিন তদন্ত করে জানাতেও নির্দেশ দেন জুড়ী থানার ওসি সঞ্জয় চক্রবর্তী ও বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (বন্য প্রাণী) রেজাউল করিম চৌধুরীকে।

উল্লেখ্য, গত ২৮ জানুয়ারি হাতি শাবককে (টাইগার) নিষ্ঠুর নির্যাতনের সচিত্র প্রতিবেদন বিভিন্ন পত্রিকায় ছাপা হয়।

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ি ইউনিয়নের কাটাগাং গহীন জঙ্গলে হাতির বাচ্চাটিকে বেঁধে পোষ মানানো নামে চলছিল শারীরিক নির্যাতন। ২৫ জানুয়ারি বন বিভাগের লোকজনের উপস্থিতিতে নির্যাতন সাময়িকভাবে বন্ধ হয়। তবে বনবিভাগের লোকজন চলে গেলে পুনরায় শুরু হয় নির্যাতন।

জানা যায়, হাতির বাচ্চাটিকে বাঁধার কৌশলটা ব্যতিক্রম। আগে থেকেই মাটিতে গাছের চারটি খণ্ড পুঁতে রাখা হয়। নির্ধারিত স্থানে যাওয়া মাত্র প্রথমে শাবকের গলায় রশি দিয়ে গাছের সঙ্গে বাঁধা হয়। সামনের দুই পা সামনের গাছের সঙ্গে এবং পিছনের দুই পা পিছনের গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে শক্ত করে বাঁধা হয়। এ সময় বাচ্চার গগনবিদারী চিৎকার দিতে থাকে এবং সমস্ত বাঁধন ছিন্ন করে মুক্ত হবার প্রাণপন চেষ্টা করে। এভাবে বেঁধে দিনের পর দিন শারীরিক আঘাত করে বশে আনার নামে চলছে নির্যাতন। এতে করে হাতি শাবকের পাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে পচন ধরেলে চিকিৎসার নামে বিভিন্ন গাছের লতাপাতা লাগানো হতো।

জাগরণ/আরকে