• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২, ০৩:১২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২, ০৩:১২ পিএম

মধু বিক্রি করে চলে ইমাম-মোয়াজ্জিনের বেতন

মধু বিক্রি করে চলে ইমাম-মোয়াজ্জিনের বেতন

কুষ্টিয়ার খোকসায় একটি মসজিদের কার্নিশে ঝুলছে ৮টি মৌচাক। গত ৪ বছর ধরে এ চাক থেকে মধু সংগ্রহ করে মসজিদ কর্তৃপক্ষ। সেই মধু বিক্রির টাকা দিয়ে চলে ইমাম-মোয়াজ্জিনের বেতনসহ বিদ্যুত বিল ও আনুসঙ্গিক খরচ।

খোকসা উপজেলার পূর্ব আমবাড়িয়ায় মসজিদের মৌচাককে আল্লাহর নেয়ামত হিসেবে মনে করেন স্থানীয়রা। তাই মৌমাছিদের বিরক্ত করেন না কখনও। 

মুয়াজ্জিন মো: মসলেম মন্ডল জানান, আগে এখানে টিনের ছাউনি দেয়া ছোট ঘরে মসজিদ ছিল। কাতার চ্যারিটির আর্থিক সহায়তায় ২০১৭ সালে মসজিদের ভবন নির্মাণ করা হয়। স্থানীয় এক ব্যক্তির মাধ্যমে যোগাযোগ করে ২০১৩ সালে দাতা সংস্থাটি মসজিদের জন্য ৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়। টাকা আনার খরচ বাদে মসজিদ কমিটি হাতে পায় ৮ লাখ। এর প্রায় সমপরিমাণ টাকা তোলা হয় স্থানীয় স্বচ্ছলদের কাছ থেকে। এরপর মসজিদের জন্য সুন্দর এ দালান তোলা হয়। তখন থেকেই মৌমাছির দল এসে এখানে চাক বানাতে শুরু করে। 

কার্নিশের নিচে নিরাপদ জায়গায় মৌচাক হয়েছে ৮টি। কাছাকাছি হওয়ায় চাকগুলো সবার নজরে পড়ে। একেবারে হাতের নাগালে, মসজিদে মুসল্লি ঢুকতে গেলে মৌচাক মাথায় লেগে যাওয়ার উপক্রমও হয় জানিয়ে তিনি বলেন, মসজিদের সামনের রাস্তায় দ্রুত গতিতে মোটরসাইকেল, ভ্যানসহ অন্য যান চলাচল করে, শিশুরা খেলে কিন্তু বিরক্ত না করলে মৌমাছিগুলো কাউকে কামড় দেয় না।

ইমাম হাফেজ মাওলানা আবু জাফর খান বলেন, বছরের কোনো কোনো সময় মৌমাছি উড়ে যায়। তবে ফুলের মৌসুমে আবার আসে। কদিন আগেও একটি চাক থেকে মৌমাছি উড়ে গেছে। ওরা আবার আসবে।

মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি বাহার উদ্দিন বলেন, মৌসুমে ১৫ দিন পর পর একটি করে চাক কাটা হয়। ৮০০ টাকা কেজি দরে বেচা হয় মধু। এভাবে বছরে গড়ে ১৫ হাজার টাকা আয় হয়। এই অর্থে মসজিদ পরিচালনা অনেক সহজ হয়।

জাগরণ/আরকে