• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২, ০২:৪৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২, ০২:৪৯ পিএম

সাতক্ষীরায় চেয়ারম্যানের মুক্তি দাবিতে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন 

সাতক্ষীরায় চেয়ারম্যানের মুক্তি দাবিতে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন 

পুলিশের হামলায় চেয়ারম্যানসহ গ্রামবাসী আহত হয়েছেন। অথচ সেই চেয়ারম্যান ও গ্রামের লোকজনকে আসামি করে শ্যামনগর থানা পুলিশ আরও একটি মামলা চাপিয়ে দিয়েছে অভিযোগ করে গ্রেপ্তার হওয়া কৈখালি ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রহিমের মুক্তি দাবি করেছেন তার স্ত্রী রোকসানা পারভিন। 

বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেছেন তিনি।

স্ত্রী রোকসানা পারভিন বলেন, আমার স্বামী ষড়যন্ত্রের শিকার। তার উপর একটির পর একটি মামলা দিয়ে ৫৩ টি মামলা চাপানো হলেও এখন হাতেগোনা কয়েকটি রয়েছে মাত্র। এসব মামলায় তিনি উচ্চ আদালতের জামিনে রয়েছেন। তা সত্বেও পুলিশ তাকে কমান্ডো স্টাইলে গ্রেপ্তার করেছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টার দিকে তার স্বামী আব্দুর রহিম মোটরসাইকেল যোগে ইউনিয়ন পরিষদের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় কতিপয় ব্যক্তি তার পথরোধ করে গাড়ি থামিয়ে তাকে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে। তিনি মার খেয়ে লুটিয়ে পড়লে তার গলার ওপর পা তুলে তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। পরে তারা নিজেদের পুলিশের লোক দাবি করে তার হাতে হাতকড়া পরায়। এসময় গ্রামবাসী বাধার সৃষ্টি করলে পুলিশের তান্ডবে ৩০ জন আহত হন। 

একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে সাদা পোশাকধারী কয়েক পুলিশ সদস্য প্রকাশ্যে মারপিট করতে পারে কিনা এবং এটা মারবাধিকারের লঙ্ঘন কিনা এমন প্রশ্ন রেখে এই হামলাকারীদের বিচার দাবি করে রোকসানা পারভিন বলেন, চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম কখনও কোনো দল করেন না। আগের পিরিয়ডেও তিনি চেয়ারম্যান ছিলেন। নির্বাচনে পরাজিত এক প্রার্থীর নীলনকশায় তার বিরুদ্ধে ৫৩ টি হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দেয়া হয়। এমনকি ভোটের সময় তিনি সন্ত্রাসী হামলার ভয়ে তার নিজের ভোটও দিতে পারেননি। এমন অবস্থায় জনপ্রিয় এই ব্যক্তি আবারো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। 

তিনি বলেন, হয়রানিমূলক মামলার বেশিরভাগ খারিজ হয়ে গেছে। তবে ছয়টি চেকের মামলায় তার এক বছর করে সাজা হলেও এবারের ইউপি নির্বাচনের আগে এসব মামলার অবস্থা বিবেচনায় তার মনোয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষনা করে নির্বাচন কমিশন। ফলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্বিতায় কেনো বাধা ছিল না। পঞ্চম ধাপের নির্বাচনে জয়লাভের পর সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) তার শপথ গ্রহনের দিন ধার্য রয়েছে। তিনি যাতে শপথ গ্রহন করতে না পারেন সেই জন্যই তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আর এর পেছনে রয়েছে স্থানীয় একটি ষড়যন্ত্রকারী মহল।

রোকসানা পারভিন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমার স্বামীকে বিভিন্ন সময় খুন জখম করে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। এতেও ক্ষান্ত না হয়ে শ্যামনগর থানা পুলিশ তাকে পুলিশের ওপর হামলার ভুয়া মামলা সাজিয়ে আরও এক দফা হয়রানির আয়োজন করেছে। এসব ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তার মুক্তি দাবি করেন। একই সাথে এসবের নেপথ্যে থাকা মহলটিকে চিহ্নিত করে তাদেরও বিচার দাবি করেন। দ্বিতীয়বার নির্বাচিত একজন জনপ্রিয় চেয়ারম্যানেকে বেপরোয়া মারপিট ও হামলার জন্য মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে জানিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দাবি জানান তিনি।

জাগরন/আরকে