• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২, ১০:২০ এএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২, ১০:২০ এএম

কুষ্টিয়ায় বস্তাবন্দি গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার

কুষ্টিয়ায় বস্তাবন্দি গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে রুহুল সরদার (৩৫) নামে পাঁচ মামলার এক আসামির গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের পশ্চিম দক্ষিণ এলাকার একটি মাঠ থেকে তার মাটিচাপা দেয়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাকে গলা কেটে হত্যার পর বস্তাবন্দি করে মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছিল। নিহত রুহুল সরদারের বিরুদ্ধে নারী ধর্ষণসহ বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে দৌলতপুর থানায় পাঁচটি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। 

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, রুহুল সরদার দৌলতপুর উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলের একটি সন্ত্রাসী বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি পাঁচটি মামলার আসামি হওয়ায় বেশিরভাগ সময় আত্মগোপন করে থাকতেন। গত দুইদিন আগে রবিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) তিনি উপজেলার চরসাদিপুর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয় এক কৃষক রুহুল সরদারের বাড়ির পেছন দিকে পশ্চিম দক্ষিণ এলাকায় একটি ফসলের ক্ষেতে আগাছা পরিষ্কার করতে গিয়ে সেখানকার মাটি খোঁড়া দেখতে পান। এতে ওই কৃষকের সন্দেহ হলে তিনি আশপাশের লোকজনকে ডেকে বিষয়টি অবগত করেন। 

ঘটনার খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক সেখানে গিয়ে মাটি খুঁড়ে রুহুল সরদারের গলাকাটা বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। তার হাত ও দুই পা দড়ি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় ছিল। নিহত রুহুল সরদার উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের চর সাদিপুর এলাকার মুনতাজ সরদারের ছেলে। তিনি পদ্মার চরাঞ্চলে একটি সন্ত্রাসী বাহিনীর হয়ে অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। প্রতিপক্ষের লোকজন এই হত্যাকান্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।

নিহত রুহুল সরদারের দুই স্ত্রী ও দুই পক্ষের দুই সন্তান রয়েছে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রবিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে চারজন ব্যক্তি রুহুলকে ডেকে নিয়ে যান। এরপর থেকে গত দুইদিন ধরে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। তার কোনো খোঁজখবর না পেয়ে পরিবারের লোকজন মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। অবশেষে মঙ্গলবার তার লাশ মিলল।

এদিকে হত্যার রহস্য উদঘাটনে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে পুলিশ। দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম জাবীদ হাসান জানান, নিহত রুহুলের বিরুদ্ধে এ থানায় ধর্ষণ, মাদক ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে পাঁচটি মামলা রয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। কারা কী কারণে এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছেন তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা যায়নি। নিহতের মা ও স্ত্রীকে হত্যার বিষয়ে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে কিনা তা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে এই হত্যাকান্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জাগরণ/আরকে