• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২২, ০২:৫১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২২, ০২:৫১ পিএম

পরকীয়ার জেরে স্বামীকে হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

পরকীয়ার জেরে স্বামীকে হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

জয়পুরহাটে পরকীয়ার জেরে স্বামীকে হত্যার ঘটনায় স্ত্রীসহ তিনজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালত। 

বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ নুর ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। 

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার দেওগ্রাম ডুগডুগি গ্রামের নিহত আব্দুর রহিমের (৩৭) স্ত্রী আকলিমা খাতুন (২৭), শালগ্রামের মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে সেলিম মিঞা (৩৪) ও গোপালপুর গ্রামের  মৃত গোলাপ রহমানের ছেলে আইনুল (৩৭)। রায় ঘোষণার সময় আকলিমা পলাতক থাকলেও অপর দুই আসামী উপস্থিত ছিলেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, নিহত রহিম বাদশা দিনাজপুর জেলার দেওগ্রাম ডুগডুগি গ্রামের শাহাদত হোসেন ওরফে সাদার ছেলে। রহিম বাদশা একজন ভাড়ায় চালিত মাইক্রোবাসের চালক ছিলেন। সহকারি হিসেবে কাজ করত সেলিম মিঞা। এই সুবাদে তাদের বাড়িতে যাতায়াত ছিল। পরে স্ত্রী আকলিমা সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক তৈরী হয়। দীর্ঘ দিন ধরে চলা এ সম্পর্কের জেরে তারা অবৈধ সম্পর্কেও জড়িয়ে পড়ে।

এক পর্যায়ে তারা আকলিমা খাতুনের স্বামী রহিম বাদশাকে তাদের পথের কাটা মনে করে। তারা রহিম বাদশাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ২০১৬ সালের ১০ জুলাই রাতে আকলিমারর পরকীয়া প্রেমিক সেলিম মিঞা তার বন্ধু আইনুলকে নিয়ে রহিম বাদশাকে মাইক্রোবাসের মধ্যে গলাকেটে হত্যা করে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বারকান্দি নামক স্থানে রাস্তার ধারে মাইক্রোবাসে চালকের আসনে বসা অবস্থায় মরদেহ রেখে চলে যান। এরপর পরদিন ১১ জুলাই নিহতের পিতা শাহাদত হোসেন ওরফে সাদা  বাদী হয়ে পাঁচবিবি থানায় অজ্ঞাতনামা হত্যা মামলা করেন। 

এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন পাঁচবিবি থানার ওসি তদন্ত কিরণ কুমার, ১৩ জুলাই রহিম বাদশার স্ত্রী আকলিমা খাতুনের পরকীয়ার প্রেমিক সেলিম মিঞা, ১৪ জুলাই রহিম বাদশার স্ত্রী আকলিমা খাতুন ও ১৬ জুলাই আইনুলকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠান। 

তিন আসামিই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন এবং ২০১৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন পাঁচবিবি থানার ওসি তদন্ত কিরণ কুমার রায় তিন জনের নামে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।

আইনজীবী নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল পিপি জানান, কারাগারে থাকার পর আসামি আকলিমা জামিনে ছিলেন। তার অনুপস্থিতিতে দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ নুর ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পর দণ্ডপ্রাপ্ত দুই জনকে জয়পুরহাট কারাগারে পাঠানো হয়। তবে আসামিরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন। 

জাগরণ/আরকে