• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ১৩, ২০২২, ০১:০৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ১৩, ২০২২, ০১:০৬ পিএম

নওগাঁয় প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট প্রস্তুতকারক ২ জনের কারাদন্ড

নওগাঁয় প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট প্রস্তুতকারক ২ জনের কারাদন্ড

নওগাঁয় আর এন কর্পোরেশন নামে একটি ঔষধ কারখানায় অবৈধ ভাবে প্রেগন্যান্সি কিট প্রস্তুত ও প্যাকেটজাত করে বাজারজাত করার দায়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ২ জনকে কারাদন্ড ও চার জনকে জরিমানা করা হয়েছে। 

কর্পোরেশনের ম্যানেজার মো: গুলজার হোসেন (৫০) ও কেয়ারটেকার মো গোলাম মোস্তফা ওরফে মোহন মোল্লা (৪৩) কে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের ৪ কর্মচারীকে ১ হাজার করে মোট ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া ওই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ১ কোটি টাকা মূল্যের উপাদান জব্দ করা হয়। 

এনএসআইয়ের তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার (১২ মার্চ) বিকেলে শহরের ইঁদুরবটতলী হাজি মনসুর সড়ক এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো: তাহমিদুল ইসলাম। 

দন্ডপ্রাপ্ত ম্যানেজার গুলজার হোসেন শহরের খাস নওগাঁ এলাকার মৃত রহিম উদ্দিনের ছেলে ও কেয়ারটেকার গোলাম মোস্তফা সদর উপজেলার চুনিয়াগাড়ী এলাকার মো: মফিজ উদ্দিনের ছেলে। 

অর্থদন্ডপ্রাপ্ত কারখানার শ্রমিকেরা হল- জেলার মান্দা উপজেলার রামপুর এলাকার মো: মনির উদ্দিনের ছেলে মো: আশরাফুল ইসলাম (৩৮), রাণীনগর উপজেলার বড়গাছা গ্রামের মো: তৈয়ব আলীর ছেলে মো: তারেক আলী (৩৫), সদর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের মো: আতাউর রহমানের ছেলে মো: মিঠুন রানা (২৫) এবং চুনিয়াগাড়ী গ্রামের মো: মফিজ উদ্দিনের ছেলে মো: মনির উদ্দিন (৩২)। 

জানা যায়, আর এন কর্পোরেশনের স্বত্বাধিকারী মো: রুবেল হোসেন (৩২) এবং মো: নবীর হোসেন (৩২) দীর্ঘদিন ধরে বাড়ির নিচতলায় অননুমোদিত ভাবে প্রেগন্যান্সি কিট প্রস্তুত ও প্যাকেটজাত করে সারাদেশে বাজারজাত করে আসছিল। এমন সংবাদে জেলা জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এর তথ্যের ভিত্তিতে শহরের ইঁদুরবটতলী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। 

এনএসআই, জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো: তাহমিদুল ইসলাম এবং সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিনিধি ডা: আশিস কুমার সরকারের উপস্থিতিতে দুই ঘন্টা অভিযান চালিয়ে প্রায় ১ কোটি মূল্যের অননুমোদিত প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট এবং কিট তৈরির যাবতীয় কেমিক্যালস, যন্ত্রপাতি ও প্যাকিং সামগ্রী জব্দ করা হয়। 

বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিকে সিলগালা করে রাখা হয়েছে। পরে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ তাহমিদুল ইসলাম মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে উপরোক্ত রায় প্রদান করেন। এসময় অভিযানের উপস্থিতি টের পেয়ে কারখানার স্বত্বাধিকারী মো: রুবেল হোসেন (৩২) এবং মো: নবীর হোসেন পালিয়ে যায়। তাদের বিরুদ্ধে ঔষধ প্রশাসনের মাধ্যমে মামলা দায়ের করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জাগরণ/আরকে