• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ১৪, ২০২২, ১২:১৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ১৪, ২০২২, ১২:১৪ পিএম

পঞ্চগড়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানীর অভিযোগ

পঞ্চগড়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানীর অভিযোগ

পঞ্চগড় সদর উপজেলায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হরিপদ রায়ের বিরুদ্ধে ৫ম শ্রেনির এক স্কুল ছাত্রীকে যৌন হয়রানী করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে স্কুলে তালা দিয়েছে এলাকাবাসী। এ ঘটনায় এলাকায় অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

শনিবার (১২ মার্চ) দুপুরে পঞ্চগড় সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ ভাটিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার হরিপদ রায় পঞ্চম শ্রেণির ক্লাশ নেয়ার সময় এক ছাত্রীর স্পর্শ কাতর জায়গায় হাত দেয়। ওই শিক্ষার্থী বাড়িতে গিয়ে তার বাবা মাকে জানালে রবিবার সকালে ওই ছাত্রীর অবিভাবকসহ স্থানীয়রা স্কুলে যায়। স্কুলে ওই শিক্ষকে না পেয়ে তারা স্কুলের শ্রেণী কক্ষগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দেয়। দুপুরে শিক্ষার্থীর অভিভাকসহ স্থানীয়রা বিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে প্রধান শিক্ষকের কাছে বিচারের দাবি জানায়। দুপুরে স্থানীয় চেয়ারম্যান বিষয়টি সুষ্ঠ সমাধানের আশ্বাস দিলে বিক্ষেভকারীরা শান্ত হোন। পরবর্তিতে শিক্ষার্থীর বাবা দোষী শিক্ষকের ন্যায় বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।

যৌন হয়রানীর শিকার ওই ছাত্রীর বাবা জানান, আমার মেয়ে শনিবার রাতে কান্নাকাটি করে বলে হরিপদ রায় স্যার গণিত ক্লাশের খাতা জমা নেয়ার সময় স্পর্শ কাতর জায়গায় হাত দেয়। আমি হরিপদ রায়ের শাস্তি চাই। 

স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রী জানায়, হরিপদ রায় স্যার আমাদের ক্লাশ নেয়ার সময় আমাদের সাথেও খারাপ আচরণ করে। আরেক শিক্ষার্থীর অবিভাবক জানায়, রবিবার সকালে আমার মেয়ে স্কুলে না যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে সে বলে হরিপদ স্যার আমাদের গায়ে হাত দেয় আমি স্কুলে যাবো না।

এ বিষয়ে ভাটিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয়ন্তী রানী রায় বলেন, অভিভাবকেরা মৌখিক অভিযোগ করেন, আমার বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হরিপদ রায় পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। আমি তাদের লিখিতভাবে অভিযোগ দিতে বলি। হরিপদ রায় যদি দোষী হয়ে থাকে তাহলে তার আইনগত ব্যবস্থা হবে।

তবে শিক্ষক হরিপদ রায়ের স্কুলে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। এমনকিও মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

চাকলাহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম জানান, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে  আরো অনেক ছাত্রীর সাথে যৌন হয়রানী করার অভিযোগ রয়েছে। তবে অভিযুক্ত শিক্ষকের ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।

পঞ্চগড় সদর উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা মোসলেম উদ্দীন জানান, আমরা শিক্ষক হরিপদ রায়ের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জাগরণ/আরকে