• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ১৬, ২০২২, ০১:৪৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ১৬, ২০২২, ০৭:৪৮ পিএম

গোয়ালঘরে মিলল গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ

গোয়ালঘরে মিলল গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ

লক্ষ্মীপুরে গোয়াল ঘরে মিলল প্রবাসীর স্ত্রী সিমু আক্তারের (২৩) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানা পুলিশ। 

বুধবার (১৬ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ভোর ৫টার দিকে সদর উপজেলার ১৯ নং তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের (৮ নম্বর) ওয়ার্ডের চরমনসা গ্রামের হারিছ মাঝির বাড়ির গোয়াল ঘরে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ দেখা যায়। 

সিমুর পরিবারের দাবি, এটি আত্মহত্যা নয়। সিমুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে সকাল থেকে আশপাশের মানুষ ওই বাড়িতে এসে ভীড় জমায়। 

সিমুর পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রায় ৮ বছর আগে চরমনসা গ্রামের ওমান প্রবাসী আবুল বাশারের সঙ্গে ১৮নং কুশাখালি ইউনিয়িনের (৬ নম্বর) ওয়ার্ড কুশাখালি গ্রামের সিরাজ মিয়ার মেয়ে সিমুর বিয়ে হয়। তাদের সংসারে শাহাদাত হোসেন নামে ৬ বছরের এক ছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই সিমুর সঙ্গে প্রায়ই শ্বশুর হারিছ মাঝি, শাশুড়ি রহিমা বেগম, ৩ ননদ সুমি আক্তার, স্বপনুর আক্তার ও শাহনাজ আক্তারের ঝগড়া লাগতো। তাদের পরিবারে কলহ লেগেই থাকতো। 

অন্যদিকে মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) রাতেও মুঠোফোনে হাজেরা তার ছেলে (প্রবাসী) আবুল বাশারের কাছে সিমুর নামে বিচার দেয়। এর আগে শ্বশুর-শাশুড়ি ও ননদরাও তাকে বকাঝকা করে। রাতেই বাশার তার শ্বশুর-শাশুড়িকে ফোন দেয়। এসময় সিমুকে নিয়ে যাওয়ার জন্য ধমক দেয়া হয়। সিমুর সঙ্গে আর সংসার করবেন না বলেও জানান তিনি। ঝগড়ার কারণেই সিমুকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন হত্যা করে পরিকল্পিতভাবে গোয়াল ঘরে ফাঁস লাগিয়ে রেখেছে। 

কান্নাজিড়িত কণ্ঠে সিমুর মা বকুল বেগম বলেন, আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেনি। তারা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। এখন আত্মহত্যা বলে প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। আমি মেয়ে হত্যার বিচার চাই। 

তেওয়ারিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইবনে ওমর হোসাঈন ভুলু বলেন, প্রবাসীর স্ত্রীর মৃত্যুর খবর পেয়ে ওই বাড়িতে যাই। খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পারলেন। মঙ্গলবার রাতে সিমুর সাথে তার স্বামী (প্রবাসী) আবুল বাশারের সাথে মুঠোফোনে সাংসারিক বিষয় কথা-কাটাকাটি হয়। এছাড়াও তাদের পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো। কলহের জের ধরেই ঘটনাটি ঘটেছে। তবে হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা বলতে পারছি না। 

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন জানান, গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

জাগরণ/আরকে