• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ১৯, ২০২২, ০১:২৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ১৯, ২০২২, ০১:২৩ পিএম

শিক্ষক সঙ্কটে রামগড় সরকারি বিদ্যালয়

শিক্ষক সঙ্কটে রামগড় সরকারি বিদ্যালয়

আবদুল জলিল
খাগড়াছড়ির রামগড় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নেই দীর্ঘদিন ধরে। ২৭ শিক্ষকের স্থলে আছেন মাত্র ১৫ জন। ১২জন শিক্ষকের পদ শূন্য। ৭শ শিক্ষার্থীর জন্য বাংলা ও ইংরেজি গুরুত্বপূর্ণ এই দুই বিষয়ে ১ জন করে মাত্র ২ জন শিক্ষক আছেন। 

অথচ শিক্ষকের পদ রয়েছে ৪ জন করে ৮ জনের। এখানে ৬টি পদই শূন্য। সব বিভাগের জন্য বাধ্যতামূলক গনিত বিষয়ে ১ জন শিক্ষকও নেই।  চারুকলা, কৃষি বিজ্ঞান, হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মীয় শিক্ষকের পদ শূন্য পড়ে আছে। বিজ্ঞান বিভাগে শুধুমাত্র ভৌত বিজ্ঞানের ১ জন শিক্ষক আছেন। 

এ রকম পরিস্থিতিতে বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা পড়ালেখার বিষয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন, তাদের যে, কি দুরাবস্থা তা সহজেই অনুমেয়। অভিভাবকেরা সন্তানদের ভবিষ্যত পড়াশোনার চিন্তায় খুবই উদ্বিগ্ন। 

অভিভাবকদের দাবি পার্বত্য চট্রগ্রামের এই বিদ্যালয়ে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক পোষ্টিং দেয়া হোক।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল কাদের জানান, মাউসির ডিজিকে শিক্ষক স্বল্পতার বিষয় জানিয়েছি। পুরো দেশব্যাপী সম্প্রতি মাধ্যমিকে বেশকিছু শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হলেও সমতল জেলার তুলনায় অনেকটা পিছিয়ে পড়া পাহাড়ের এই বিদ্যালয়টিতে একজন শিক্ষকও নিয়োগ দেয়া হয়নি। দ্রুততম সময়ে এখানে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া না হলে প্রত্যন্ত এলাকায় শিক্ষার মানোন্নয়ন করা কোন ভাবেই সম্ভব হবে না। অতিথি শিক্ষক দিয়ে কতটা শূন্যস্থান পূরন করা যায়? 

তিনি আরো জানান, রংপুর বিভাগে শূন্য পদের তুলনায় অতিরিক্ত শিক্ষক দেয়া হয়েছে। ওই অতিরিক্ত শিক্ষকদের এখানে পোষ্টিং দেয়া সম্ভব। 

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো.আবদুল কাদের বলেন, বিদ্যালয়ের পুরো এলাকায় সীমানা প্রাচীর নেই। ফলে বাইরের লোকজন সহজেই স্কুল কম্পাউন্ডে ঢুকে পড়ছে। আশপাশের লোকজন ময়লা আবর্জনা ফেলে প্রতিনিয়ত বিদ্যালয়ের  সার্বিক পরিবেশ নোংরা করছে। স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েও এর কোনো প্রতিকার হয়নি। 

এখানে মাদকাসক্তদের আনাগোনার খবরও জানান তিনি। প্রধান শিক্ষক ও অন্য শিক্ষকদের জন্য আবাসন ব্যবস্থা নেই এখানে। বিদ্যালয়ে একটি শিক্ষার্থী মিলনায়তন দরকার।

রামগড় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিশ্বপ্রদীপ কুমার কারবারি বলেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগের পাশাপাশি স্থানীয় সাংসদের ডিও লেটার নিয়ে এখানে পর্যাপ্ত সংখ্যক শিক্ষক পোষ্টিং পেতে প্রচেষ্টা চালাবেন। অন্যান্য বিষয়গুলোর খবর নিয়ে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন।

জাগরণ/আরকে