• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ২০, ২০২২, ০২:৫৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ২০, ২০২২, ০২:৫৬ পিএম

চট্টগ্রামে হেফাজত নেতার ২ বছরের কারাদণ্ড

চট্টগ্রামে হেফাজত নেতার ২ বছরের কারাদণ্ড

সম্পদ হিসাব জমা দিতে না পেরে দুই বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড মাথায় নিয়ে জেলে গেলেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক সিনিয়র নায়েবে আমির ও আল জামেয়াতুল ইসলামিয়া মাদ্রাসা লালখান বাজারের প্রিন্সিপাল মুফতি ইজাহারুল ইসলাম। সম্পদের বিবরণী জমা না দেয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় মুফতি ইজাহারে বিরুদ্ধে এ রায় দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত। 

রবিবার (২০ মার্চ) চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুনসী আবদুল মজিদের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর আদালতের হাজির থাকা মুফতি ইজাহারুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
 
বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের স্পেশাল পিপি কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, সম্পদের বিবরণী দাখিল না করায় মুফতি ইজহারের বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলায় দোষী সাবস্ত হওয়ায় তাকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকার অর্থদণ্ড দেয়া হয়। এই জরিমানা দিতে না পারলে তাকে আরো ২ মাস কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতের হাজির ছিলেন, পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। 

আদালত সূত্র জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৭ জুন সম্পদের হিসাব চেয়ে মুফতি ইজাহারুল ইসলামকে নোটিশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই বছর ২৮ জুলাই মুফতি ইজাহারুল ইসলামের বরাবর নোটিশ পাঠায় দুদক। এতে সাত কার্যদিবসের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু সাত কার্যদিবস অর্থাৎ ওই বছরের ৭ আগস্টের মধ্যে সম্পদের হিসাব না দেয়ায় দুদক চট্টগ্রামের উপ-সহকারী পরিচালক সিরাজুল হক বাদী হয়ে ওই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর মুফতি ইজাহারুলের বিরুদ্ধে খুলশী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

সূত্রে আরো জানা যায়, ২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল দুদকের বর্তমান উপ-পরিচালক এইচ এম আকতারুজ্জামান মামলাটির তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ২৮ এপ্রিল অভিযোগপত্র গ্রহণের পর তার বিচার শুরু হয়। মামলায় ৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত রবিবার এ রায় দেন।

জাগরণ/আরকে