• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০২২, ১১:৪৭ এএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ২৪, ২০২২, ১১:৪৭ এএম

বিয়ে করে ছাড়া পেলেন পুলিশ

বিয়ে করে ছাড়া পেলেন পুলিশ

পঞ্চগড়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে এক নারীর দায়ের করা মামলায় রবিবার (২০ মার্চ) কুড়িগ্রাম সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জলিলকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। কারাভোগের ৩য় দিনে ভুক্তভোগী ওই নারীকে বিয়ে করায় এসআই আব্দুল জলিলের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

বুধবার (২৩ মার্চ) বিকেলে পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার তার জামিন মঞ্জুর করেন। এর আগে দুপুরে মামলায় হাজিরা দিতে এসে বিয়ে করার শর্তে জামিন আবেদন করেন এসআই জলিল। আদালত তার জামিন আবেদনে সন্তুষ্ট হয়ে বিয়ের কাবিননামা দাখিলের পরে জামিন মঞ্জুর করেন।

জানা যায়, ৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকা দেনমোহরে ভূক্তভোগী ওই নারীকে বিয়ে করেন পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জলিল। এসআই জলিল এর আগে পঞ্চগড় সদর থানার এসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

গত ২৩ জানুয়ারি এই মামলায় এসআই জলিলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরে তিনি উচ্চ আদালতের রায়ে ৬ সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। তার জামিনের মেয়াদ শেষ হলে তিনি পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে রবিবার (২০ মার্চ) দুপুরে আত্মসমর্পন করে স্থায়ী জামিনের আবেদন করলে আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন এক নারী। সেই ডায়েরির তদন্ত করতে গিয়ে তৎকালীন পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল জলিল বিধবা ওই নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপরে তিনি ভুয়া কাবিননামা করিয়ে নিয়ে ওই নারীর সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এক সময় ভূক্তভোগী নারী বিবাহের কাবিননামা চাইতে গেলে জলিল বিবাহের কথা অস্বীকার করেন। পরে ওই ভুক্তভোগী নারী ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর পঞ্চগড় নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেন। গত ২০ জানুয়ারি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। ২৩ জানুয়ারি (রবিবার) আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ওই উপ-পরিদর্শকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করেন।

ভূক্তভোগী ওই নারী বলেন, এতোদিন আমি জলিলের কাছে স্ত্রীর স্বীকৃতি তো দূরের কথা বিয়ের কাবিননামাও পাইনি। আজ আদালতে আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

রাতে মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবি মেহেদী হাসান মিলন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

জাগরণ/আরকে