• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ২৬, ২০২২, ১১:২৯ এএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ২৬, ২০২২, ০৫:৩০ পিএম

বরিশাল নদীবন্দরে ববি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

বরিশাল নদীবন্দরে ববি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ব‌রিশাল নদীবন্দরে প্রবেশ টিকেট না কাটার জেরে ব‌রিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ৩ শিক্ষার্থীকে মারধ‌র ও কান ধরে ওঠবস করানোর অভিযোগ উঠেছে বিআইডব্লিউটিএ'র কয়েকজন কাউন্টার কর্মচারীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ববির বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা নদীবন্দরে ঢুকে চেয়ার টে‌বিল ভাঙচুর করেছেন।  

শুক্রবার (২৫ মার্চ) রাত ৮টার দিকে ব‌রিশাল নদী বন্দরের ২ নম্বর গেটের কাউন্টা‌র থেকে এই ঘটনার সূত্রপাত হয়। যা চলে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। 

ববির শিক্ষার্থীরা জানায়, এক সহপাঠীকে বিদায় দিতে রাত ৮টার দিকে ব‌রিশাল নদীবন্দরে আসেন ইতিহাস ও সভ্যতা বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফুর রহমান, রা‌কিব, আশিক ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান। এসময় ঢাকায় যিনি যাবেন, তার প্রবেশ টিকেট কাটা হয়। কিন্তু  অন্যরা টিকেট ক্রয় করেননি। এতে কাউন্টারে থাকা টিকেট চেকার মাইনুলসহ আরও কয়েকজন সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ৩ শিক্ষার্থীকে মারধর করতে করতে বন্দ‌র ভবনের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে যায় স্টাফরা। সেখানে এক‌টি কক্ষে আটকে রেখে মারধর ও কান ধরে ওঠবস করানো হয়। এই ঘটনার খবর ববি ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা রাত ১০টার দিকে নদীবন্দরে এসে প্রতিবাদ জানায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শিক্ষার্থীরা প্রথমে নদীবন্দর ভবনের সামনে এসে বিক্ষোভ করেন। পরে বন্দর ভবনে ঢুকে চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করেন। 

মারধরে আহত ববি শিক্ষার্থী রা‌কিব বলেন, আমি ঢাকায় যাওয়ার জন্য ব‌রিশাল নদীবন্দরে এসে‌ছিলাম। আমাকে এগিয়ে দিতে আমার কয়েকজন বন্ধু এসে‌ছি‌ল। এসময় কাউন্টারের লোকজন কাটা টিকেটগুলো না ছিঁড়ে তা পকেটে ঢুকা‌চ্ছি‌ল। এর প্রতিবাদ করলে তারা আমাদেরকে মারধর করে ও কান ধরে ওঠবস ক‌রায়। 

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী অমিত হাসান র‌ক্তিম বলেন, আমরা তিন‌দিনের মধ্যে অভিযুক্ত স্টাফদের বিরুদ্ধে ব‌্যবস্থা নেওয়ার আল‌টিমেটাম দি‌য়ে‌ছি। ‌এর মধ্যে ব‌্যবস্থা গ্রহণ না করলে আমরা পুনরায় আন্দোলনে যাবো। 

নদী বন্দরের শুল্ক প্রহরী মাইনুল ইসলাম বলেন, আমি গিয়ে দে‌খি কাউন্টারের স্টাফ জা‌কিরের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মারামা‌রি চলছে। এরপর সবাইকে নিয়ে ওপরে (দ্বিতীয় তলায়) যাই। পরে ওদের বু‌ঝিয়ে আমি পা‌ঠিয়ে দিয়ে‌ছি। আমার সঙ্গে কা‌রও ঝামেলা হয়‌নি।

ব‌রিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা মোস্তা‌ফিজুর রহমান বলেন, বিষয়‌টি শুনে‌ছি। ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে‌ছি। যারা অপরাধ করেছে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব‌্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

ববির প্রক্টর ড. খোরশেদ আলম বলেন, আমরা নদীবন্দর কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে‌ছি। তি‌নি জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নদীবন্দরে প্রবেশ করার সময় পরিচয়পত্র দেখালে তারা ফ্রিতে ঢুকতে পারবেন। তাছাড়া যে ঘটনা ঘটেছে তাতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব‌্যবস্থা নেওয়া হবে। 

ব‌রিশাল মেট্রোপ‌লিটন পু‌লিশের অতিরিক্ত উপক‌মিশনার ফজলুল ক‌রিম বলেন, নদীবন্দরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।

জাগরণ/আরকে