• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ২৭, ২০২২, ০১:৪৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ২৭, ২০২২, ০১:৪৫ পিএম

গাংনীয় সড়ক সংস্কার কাজে অনিয়ম

গাংনীয় সড়ক সংস্কার কাজে অনিয়ম

মেহেরপুরের গাংনীর নওদামটমুড়া-বেতবাড়িয়া সড়ক সংস্কার কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী ফয়সাল আহমেদের অর্থবাণিজ্যর কারনে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করছে ঠিকাদার। 

এ বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা। অনিয়ম ক্ষতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে দাবি স্থানীয়দের।  

জানা গেছে, ১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যায়ে নওদামটমুড়া থেকে বেতবাড়িয়া নাটনাপাড়া ব্রীজ মোড় পর্যন্ত সড়ক সংস্কার ৪ কি.মি. রাস্তার সংস্কারে কাজ করছে চুয়াডাঙ্গার ঠিকাদার সামচ্ছুদোহা মল্লিক। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা সংস্কার করলেও কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো ভালো কাজ হচ্ছে মর্মে সাফাই গাইছেন গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী ফয়সাল আহমেদ।

বামন্দী ইউপি চেয়ারম্যান মো: ওবাইদুর রহমান কমল বলেন, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা সংস্কার করা হচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পাওয়া যায়। ধুলোবালি পরিস্কার না করেই কার্পেটিং শুরু করে ঠিকাদার। এলাকবাসির বিক্ষোভের মুখে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান আংশিক পরিস্কার করলেও ঘটনাস্থল থেকে চলে আসার পর আবারো ধুলোবালির মধ্যে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ শুরু করেছে। বিষয়টি তিনি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেছেন। 

ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা ও কাজিপুর ইউপি সদস্য রেজাউল হক বলেন, রাস্তা সংস্কার করার কয়েক দিনের মাথায় বিভিন্ন অংশের কার্পেটিং উঠে গেছে। এত নিম্নমানের সামগ্রী আর ধুলোবালির মধ্যে কাজ করলে আবারো রাস্তাটি খানাখন্দে পরিনত হবে। স্থানীয়রা অনিয়মের প্রতিবাদ করলে ঠিকাদারের লোকজন চাঁদাবাজির মামলা দেওয়ার হুমকি দেয়। একারনে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেনা। 

গাংনী উপজেলা বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটা সড়কেই নিম্নমানের খোয়া, পাথর, বিটুমিন, বালি ব্যবহার করা হচ্ছে। স্থানীয়দের দাবি উপজেলা প্রকৌশলী ফয়সাল আহমেদ গাংনীতে যোগদানের পর থেকে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করার হিড়িক বেঁধে গেছে। 

গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী ফয়সাল আহমেদ নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা সংস্কার করার বিষয়ে বলেন, রাস্তায় ধুলোবালি কিছু নেই। ভালোমানের মালামাল দিয়ে রাস্তার কাজ করছে ঠিকাদার। 

এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আসাদুজ্জামানের ব্যবহৃত সরকারি মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেনি।  

ঠিকাদার সামচ্ছুদোহা মল্লিক বলেন, ধুলোবলি যাওয়ার কারনে কিছুটা হেরফের হতে পারে। তবে কোন নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছেনা। 

তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) (কুষ্টিয়া অঞ্চল) শেখ মো: নূরুল ইসলাম বলেন, নওদামটমুড়া-ভবানীপুর রাস্তার অনিয়মের বিষয়টি জানা নেই, তবে অনিয়ম হলে খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


জাগরণ/আরকে