• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০১৮, ০৬:০২ পিএম

গোয়ালন্দে থামছে না বাল্যবিয়ে

গোয়ালন্দে থামছে না বাল্যবিয়ে
প্রতিকী ছবি

 

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় দিন দিন বাড়ছে বাল্যবিয়ের হার। ফলে ফরম পূরণ করার পরও এ উপজেলায় চলমান জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় অনুপস্থিত রয়েছে ৫৪ জন ছাত্রী। বাল্যবিয়ের শিকার হওয়ায শেষ হয়ে গেছে তাদের শিক্ষাজীবন।

এ ছাড়াও বাল্যবিয়ের শিকার কিশোরীরা শারীরিক ও মানসিকভাবে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে। তবে দরিদ্রতা ও সামাজিক নিরাপত্তা ছাড়াও কতিপয় আইনজীবীর সহযোগিতাই এর জন্য দায়ী বলে মনে করছেন অনেকেই।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোয়ালন্দ উপজেলার জনসংখ্যা প্রায় সোয়া দুই লাখ। পদ্মা নদী তীরবর্তী দৌলতদিয়া, দেবগ্রাম ও উজানচর ইউনিয়নের চরাঞ্চল ও নদীভাঙন এলাকা হওয়ায় এখানে ১২-১৩ বছরের কিশোরী এবং ১৬-১৮ বছর বয়সী কিশোরদের বিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। 

এ ক্ষেত্রে সরকারের কঠোর আইন থাকলেও কতিপয় আইনজীবী এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অনেক ক্ষেত্রে অভিভাবকরা বিনা কাবিনে শুধু মৌলভী দিয়ে আবার অনেকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রাপ্ত বয়স্কের জন্মনিবন্ধন সনদ জোগাড় করেও সন্তানদের বিয়ে দিচ্ছেন। 

জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতির ব্যাপারে পরীক্ষা কেন্দ্র ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, মেয়েদের প্রায় সবাই বাল্যবিয়ের শিকার হওয়ায় ফরম পূরণ করা সত্ত্বেও পরীক্ষা দিতে পারছে না। এ ক্ষেত্রে লজ্জা, স্বামীর অনাগ্রহ ও দরিদ্রতাই প্রধান কারন। ছেলেরা পরিবারে অভাবের কারণে বিভিন্ন জায়গায় কাজের সন্ধানে চলে গেছে।

দৌলতদিয়া মডেল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ সহিদুল ইসলাম জানান, এই স্কুলের ৪ জন ছেলে ও ৬ জন মেয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে না। খোঁজ নিয়ে জেনেছি মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে। আর ছেলেরা কাজের সন্ধানে এলাকার বাইরে।

গোয়ালন্দ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান জানান, অষ্টম শ্রেণিতেই ৭৮ জন শিক্ষার্থীর ঝরে যাওয়ার ঘটনা খুবই দুঃখজনক। এর মধ্যে অবৈধ উপায়ে গোপনে বিয়ে দেয়া হয় মেয়েদের। আগে থেকে জানতে পারলে বিয়ে বন্ধের ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

এসসি/