• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২, ২০২২, ১১:০২ এএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২, ২০২২, ১১:০২ এএম

রমজানকে সামনে রেখে সক্রিয় জাল টাকা কারবারি 

রমজানকে সামনে রেখে সক্রিয় জাল টাকা কারবারি 

দীপন বিশ্বাস
কক্সবাজার জেলা সদরসহ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারগুলোতে জাল টাকার ছড়াছড়ি। পবিত্র রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে জাল টাকা তৈরীর কারবারিরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রতিদিনই জাল টাকা ধরা পড়ছে হাটবাজারগুলোতে। বিশেষ করে গ্রামের হাটবাজার ও রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের বাজারগুলো কারবারিদের টার্গেট। এরা বিভিন্ন কৌশলে এসব টাকা সহজ সরল মানুষ এবং ব্যবসায়ীদের দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে। এরা ধরাও পড়ছে আবার আইনের ফাঁকে বের হয়ে একই অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।

সূত্র জানায়, রোহিঙ্গা শিবিরসহ জেলার বেশ কয়টি স্থানে গড়ে ওঠেছে জাল টাকা তৈরির কারখানা। বুধবার (৩০ মার্চ)  কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলা গেইটের সামনে রাবেয়া এন্টারপ্রাইজ নামক কম্পিউটার দোকান থেকে র‌্যাব-৭ অভিযান চালিয়ে ১৬ লাখ জাল টাকা উদ্ধার ও জাল টাকা তৈরির মূলহোতা মিজানসহ তিন সহযোগীকে গ্রেফতার করে। 

তারা হলো- বড়ঘোপ ইউপির মনোহরখালী এলাকার হাফেজ শহীদ উল্ল্যাহর ছেলে জাল টাকা তৈরীর সিন্ডিকেটের মূলহোতা সাঈফ উদ্দিন আহম্মদ প্রকাশ মিজান (২৫) এবং তার দুই ভাই সহযোগী উপজেলা পরিষদের সচিব মেজবাহ উদ্দিন আহম্মদ (৩২), মো: জিয়া উদ্দিন (২১) সহ কৈয়ারবিল ইউপির নজর আলী মাতবর পাড়া এলাকার ওমর আলী ছেলে সাইফুল ইসলাম (২২)। পরে তাদের ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

এদিকে গত বছরও র‌্যাব-৭ ও র‌্যাব-১৫ উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরে বেশ কয়েকবার অভিযান চালিয়ে জাল নোট তৈরীর কারিগর, তাদের সরঞ্জামসহ ধরতে সক্ষম হয়েছে।  

সূত্রটি আরো জানায়, পাচারকারী সিন্ডিকেটটি বেশিরভাগ ব্যবহার করে শিশু-কিশোরদের। শিশু ও কিশোরদের দিয়ে তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য সংগ্রহের জন্য ক্রেতা সাজিয়ে বাজারে পাঠায়। শিশু ও কিশোরদের টাকা ব্যবসায়ীরা তেমন একটা খেয়াল না করে দ্রব্যসামগ্রী দিয়ে দেয়। পরে এসব টাকা হাতবদল কিংবা ব্যাংকে গেলে ধরা পড়ে। যার ফলে বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিদিন জাল টাকার ফাঁদে পড়ে সর্বশান্ত হচ্ছে।

বিভিন্ন সূত্র আরো জানায়, রোহিঙ্গা শিবিরে ১ লাখ টাকার জাল নোট আসল টাকায় বিক্রি হয় ২০/২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে। জাল নোটগুলো কিনে নিয়ে তারা বিভিন্ন হাটবাজারে ঢুকিয়ে দেয়। আবার অনেকেই বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে চোরাকারবারে নানা পন্য ক্রয়-বিক্রয়ে ব্যবহার করছে। বহু জাল নোট মিয়ানমারেও চলে গেছে।

স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছেন, গোয়েন্দা নজর বাড়ানো হলে এবং পাচারকারীরা যাতে ধরা পড়লে সহজে জেল থেকে বের হতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখলে জাল টাকার ছড়াছড়ি বন্ধ হয়ে যাবে।

জাগরণ/আরকে