• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ৩, ২০২২, ০৪:১১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ৩, ২০২২, ০৪:১১ পিএম

লক্ষ্মীপুর যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা 

লক্ষ্মীপুর যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা 

লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের সদস্য ও রায়পুর উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক মনজুর হোসেন সুমনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

শনিবার (২ এপ্রিল) দুপুরে ভূক্তভোগী মোবাশ্বেরা বেগম বিষয়টি জানিয়েছেন। 

তিনি জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে রায়পুর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। আসামিরা বাসায় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ও মালামাল লুটে নেওয়াসহ প্রায় ৭ লাখ টাকার ক্ষতি করেছে। প্রধান আসামি সুমন যুবলীগ নেতা মনু মিয়া হত্যা মামলারও আসামি। 

অন্য আসামিরা হলো- সুমনের ভাই উত্তর চরআবাবিল গ্রামের নাজমুল হোসেন রাজু, সহযোগী মো. ওসমান, আল-আমিন, মো. রাসেল ও অজ্ঞাত আরো ৬ জন। সুমন উত্তর চর আবাবিল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শহিদ উল্যার ছেলে। 

মোবাশ্বেরা উত্তর চর আবাবিল ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চরআবাবিল গ্রামের বাসিন্দা। বৃদ্ধ বাবা মায়ের দেখাশোনা করার জন্যই তিনি বাবার বাড়িতে থাকেন। 

এজাহার সূত্র জানায়, মামলার বাদী মোবাশ্বেরাদের সঙ্গে সুমনদের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এতে প্রায়ই সুমন লোকজন নিয়ে জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা করে। কিন্তু না পেরে জমির জন্য তিনি মোবাশ্বেরা ও তার ভাই মোসলেহ উদ্দিনদের বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর আদালতে মামলা দায়ের করে। ২৯ মার্চ ওই মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ওইদিন বিকেলেই সুমন সহযোগীদের নিয়ে মোসলেহ উদ্দিনের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। 

এসময় তাকে এলোপাতাড়ি মারধর ও কুপিয়ে আহত করে হামলাকারীরা। পরে লাঠিসোটা দিয়ে দরজা ও জানালার কাঁচ ভাঙচুর করা হয়। এসময় বাধা দিতে গেলে মোবাশ্বেরাকে মারধর ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে তারা। একপর্যায়ে তারা বাসায় আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে সোফাসহ মালামাল পুড়ে ১ লাখ ২০ হাজার ক্ষতি হয়। এছাড়া ঘরে থাকা স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টাকার মালামাল লুটে নেয় তারা। 

মোবাশ্বেরা বেগম বলেন, কাগজপত্র অনুযায়ী জমি আমাদের। কিন্তু সুমন জোরপূর্বক তা দখল করতে চাচ্ছে। এজন্য হামলা চালিয়ে আমাদের হত্যাচেষ্টা করে। আমার ভাইকে কুপিয়ে জখম করেছে। 

জেলা পরিষদের সদস্য মনজুর হোসেন সুমন বলেন, আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে ষড়যন্ত্র চলছে। সে কারণেই এ মামলা করা হয়। আমি কাউকে মারধর করিনি। 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও হায়দরগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (তদন্ত) হাসান জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনাটি তদন্ত চলছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে।

জাগরণ/আরকে