• ঢাকা
  • বুধবার, ০১ মে, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৩, ২০২২, ১২:৩৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ১৩, ২০২২, ১২:৩৮ পিএম

ধর্ষণের মামলা আড়াই লাখে রফাদফা, এসআই ক্লোজড

ধর্ষণের মামলা আড়াই লাখে রফাদফা, এসআই ক্লোজড

সাভারের আশুলিয়ায় ধর্ষণের ঘটনায় ব্যবস্থা না নিয়ে মিমাংসা অভিযোগে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক এসআই ফরিদুল আলমকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম। এর আগে ২৬ মার্চ ধর্ষণের বিষয়টি মিমাংসা করেন এসআই ফরিদুল আলম। তবে বিষয়টি জানাজানি হলে মামলা দায়ের করে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত আসামিকে।

ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার মো: সাকিব ভূঁইয়া আশুলিয়ার ঘোষবাগের ঘোষবাগ প্রাইমারী স্কুল সংলগ্ন এলাকার মো: শাহআলম ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এশিয়ান ইউনিভার্সিটি আশুলিয়া ক্যাম্পাস শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। অভিযোগ ওঠার পর তাকে বহিষ্কার করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাভারের আশুলিয়ায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণ করেন সাকিব ভুইয়া নামের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী পোশাক শ্রমিককে আবারও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় ৫ ঘন্টা একটি 'ল' চেম্বারে বসিয়ে রাখা হয়। শেষ পর্যন্ত দেখা না দিয়ে মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয় সাকিব। পরবর্তীতে ২৬ মার্চ  ভুক্তভোগীকে থানায় ডেকে নিয়ে আড়াই লাখ টাকা দিয়ে বিষয়টি মিমাংসা করা হয়। 

ভুক্তভোগী নারী ২১ মার্চ থানায় লিখিত অভিযোগ করলে সেই অভিযোগের তদন্তের ভার পরে আশুলিয়া থানার এসআই মো: ফরিদুল আলম এর উপর। পরে অভিযুক্তের সাথে আতাত করে টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি মীমাংসা করেন তিনি। পরে জানাজানি হলে গত ১১ এপ্রিল আবার ভুক্তভোগী নারীকে থানায় ডেকে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে মামলা নেয় পুলিশ।  

ভুক্তভোগী তরুণী বলেন,  এর আগেই এ ঘটনার মীমাংসা করা হয়েছিল। এসআই ফরিদ ও আরও কয়েকজন স্থানীয় লোক থানায় বসেই আমাকে আড়াই লাখ টাকা দিয়ে মীমাংসা করায়। তারা বলে মামলায় গেলে অনেক ঝামেলা অনেক খরচ, তুমি মীমাংসা করে নাও। এ বিষয়ে আমার আর কোন অভিযোগ ও ছিলনা। সেই টাকা থেকে আমার কাছে বিভিন্ন খরচাপাতির কথা বলে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে উপস্থিতরা। আমি ৪০ হাজার টাকা টেবিলের উপর রেখে দিয়ে চলে আসি। এরপর থেকে আমি আমার মত এলাকায় বসবাস করে আসছিলাম। পরে গত ১১ এপ্রিল আবার আমাকে ডেকে নিয়ে মামলা করায় এসআই ফরিদুল। এখন আমি সব ভুলে গেছি। তারা আবার আমাকে আগের স্থানেই নিয়ে এসেছে।

এ বিষয়ে এস আই ফরিদুল আলম  বলেন, আমি আজকে থেকে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত। আর আমি কারো কাছ থেকে টাকা নেয়নি। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিও গ্রেফতার হয়েছে। 

এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম বলেন, মামলা সংক্রান্ত একটি জটিলতায় এসআই ফরিদুল আলমকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। 

এস আই ফরিদুল আলমের ক্লোজের বিষয়ে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, পুলিশের বিষয়ে যে কোন সময় ব্যবস্থা বা বদলি করে থাকি। এটা কোন শাস্তিমুলক ব্যবস্থা না, এটি অভ্যন্তরীণ বিষয়।

জাগরণ/আরকে