• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০২২, ০৩:২১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২০, ২০২২, ০৩:২১ পিএম

কালিয়ায় বঙ্গবন্ধু ধানের বাম্পার ফলন

কালিয়ায় বঙ্গবন্ধু ধানের বাম্পার ফলন

চলতি মৌসুমে নড়াইলের কালিয়ায় নতুন উদ্ভাবিত বঙ্গবন্ধু ধানসহ বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় কৃষকসহ উপজেলা কৃষি বিভাগ। 

আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে কৃষকরা ধান ঘরে তুলতে পারবে বলে আশা করছে। দ্রুত ক্ষেতের ধান ঘরে তুলতে কৃষি বিভাগ তদারকির পাশাপাশি ধান কাটার সাথেই মাড়াইয়ের জন্য ৫০ শতাংশ ভর্তুকি মূল্যে কম্বাইন্ড হারবেষ্টার মেশিন বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার থেকে কৃষকরা আনুষ্ঠানিক ভাবে ধান কাটা শুরু করেছেন।  

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউট বঙ্গবন্ধু ১০০ জাতের নতুন ধান উদ্ভাবন করেছে। উপজেলায় ১ হেক্টর জমিতে বঙ্গবন্ধু ১০০ ধানের চাষসহ ১৬ হাজার ৫১০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাধ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১২ হাজার ৫৮৮ হেক্টর জমিতে হাইব্রীড ৩ হাজার ৯২০ হেক্টর জমিতে উফশী ধানের চাষ করা হয়েছে। 

সূত্রে আরো জানা যায়, গত বছরের তুলনায় এবার ৫১০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ধানের চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিন হাজার কৃষককে ২ কেজি হারে হাইব্র্রিড ধানবীজ, ২ হাজার কৃষককে ৫ কেজি হারে উফসী জাতের ধানবীজসহ ১০ কেজি করে ডিএপি ও ১০ কেজি করে এমওপি সার বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। ফলে হাইব্রীড ধানের আবাদ গত বছরের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। হেক্টর প্রতি বঙ্গবন্ধু জাতের ধানের ফলন সাড়ে ৬ টন হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামের কৃষক ইমাদুল হক খান ও সীতারামপুর গ্রামের কৃষক  জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তারা উফশী জাতের ধানের চাষ করে আসছেন। এবছর জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নামের ধান পেয়ে তারা এক বিঘা করে জমিতে চাষ করেছেন। যাতে সার ও বিষের পরিমান যেমন কম লেগেছে, তেমন ফলনও হয়েছে বাম্পার। চলতি বছর বীজের অভাবে অল্প জমিতে ১০০ জাতের ধান চাষ করেছেন। ভালো ফলনের প্রত্যাশায় বীজ সংরক্ষনের মাধ্যমে আগামীতে তারা মাঠে মাঠে বঙ্গবন্ধু ধানের চাষ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুবির কুমার বিশ্বাস বলেন, বীজের স্বল্পতার কারণে চলতি বছর মাত্র এক হেক্টর জমিতে বঙ্গবন্ধু ১০০ ধানের চাষ করা হয়েছে। তাতে সর্বোচ্চ ফলন বিঘা প্রতি ১ টন হারে ফলন সম্ভব হতে পারে। ১০০ জাতের ধানটি সাধারনত উচু জমিতে ভাল ফলন দেয়। সারও কীট নাশকের অল্প পরিমান ব্যবহারে ভাল ফলন পাওয়া যায়। তাছাড়া প্রাকৃতিক দূর্যোগেও তুলনা মূলক ক্ষতির পরিমান কম হবে। 

একই সাথে বোরো ধানেরও বাম্পার ফলনের আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ধান কাটা সবে শুরু হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে কৃষি বিভাগের সার্বিক সহায়তায় ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে কৃষক ধান ঘরে তুলতে পারবে। 

জাগরণ/আরকে