• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২২, ১২:০০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৫, ২০২২, ১২:০০ পিএম

দৌলতদিয়ায় ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ

দৌলতদিয়ায় ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে বেড়েছে ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ। তবে ঘাট এলাকায় যানবাহনের তেমন চাপ না থাকায় স্বস্তিতে ফেরি পার হতে পারছে ঘাটে আসা যাত্রীরা।

শুক্রবার (১৫ জুলাই) সকাল থেকেই দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় এমন চিত্র দেখা যায়। অন্যান্য বছর ঈদ পরবর্তী যানবাহনের যেমন ভিড় থাকত, তা এবার দেখা যায়নি।

ঘাট সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে থাকা ২১টি ফেরির মধ্যে সচল রয়েছে ১৬ ফেরি। গত ২৪ ঘণ্টায় দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে পাটুরিয়া গেছে ৩ হাজার ৪২৯টি যানবাহন। এর মধ্যে যাত্রীবাহী বাস ৭২১টি,  ট্রাক ৫০৫টি, ছোট গাড়ি ১ হাজার ৪২১টি ও মোটরসাইকেল ৭৮২টি।

সরেজমিনে দেখা যায়, পরিবারের সঙ্গে ঈদ শেষ করে কর্মস্থলে ফিরতে মানুষজন দৌলতদিয়া ঘাটে ভিড় করছেন। তারা ঘাটে এসে ভোগান্তি ছাড়াই ফেরি অথবা লঞ্চে নদী পার হচ্ছেন। ঘাট এলাকায় ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ থাকলেও ঘাটের চিরচেনা সেই যানবাহনের দীর্ঘ সারি আর নেই। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক ঘাটে এসেই সরাসরি ফেরির দেখা পাচ্ছে। এছাড়া ব্যস্ততম ঢাকা-খুলনা মহাসড়কেও যানবাহনে চাপ নেই।

সুজন শেখ নামে নারায়ণগঞ্জগামী এক যাত্রী বলেন, পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করে এখন কর্মস্থলে ফিরছি। ঈদ করতে বাড়িতে যেতে এবার কোনো সমস্যা হয়নি। আবার ফিরতি পথেও কোনো ঝামেলা পোহাতে হয়নি। এবারের ঈদযাত্রা অনেক আরামদায়ক ছিল।

রাজবাড়ী থেকে পরিবারের সঙ্গে ঈদ শেষ করে ঢাকা ফিরছেন মীর আফরোজ জামান। তিনি একজন গণমাধ্যম কর্মী। দৌলতদিয়ার ৫ নং ফেরিঘাট এলাকায় কথা হয় তার সঙ্গে। এ সময় তিনি বলেন, প্রতি বছরই আমি পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়িতে যাই। ঘাট পার হতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। কিন্তু এবারই প্রথম কোনো ভোগান্তি ছাড়া নদী পার হতে পেরেছিলাম। আবার ঈদ শেষ করে ঢাকায় ফিরছি। ফিরতি পথেও কোনো ভোগান্তি নেই। এবারের ঈদযাত্রা অনেক আরামদায়ক হয়েছে। পদ্মা সেতু চালুর সুফল পেতে শুরু করেছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. শিহাব উদ্দিন বলেন, ঘাটে ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ থাকলেও যানবাহনের সিরিয়াল নেই। যাত্রীরা ভোগান্তি ছাড়াই ফেরি পার হতে পারছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর ঘাটের চিরচেনা রূপ এখন পাল্টে গেছে। মানুষ এখন ভোগান্তি ছাড়াই নদী পার হতে পারে। 

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে এই রুটে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে। বেলা বাড়লে যাত্রীর চাপও কিছুটা বাড়তে পারে।তবে চাপ বাড়লেও ঘাটে ভোগান্তি থাকবে না।