• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২৪, ২০২২, ০৭:৪৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২৪, ২০২২, ০৭:৪৭ পিএম

প্রধান শিক্ষকের পিটুনিতে এক শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি

প্রধান শিক্ষকের পিটুনিতে এক শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি

বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি// 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের রূপসদী জামিদা মনসুর উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নবম শ্রেণির আশিক মিয়া নামের এক শিক্ষার্থীকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে। আহত শিক্ষার্থী বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই ঘটনায় নির্যাতিত শিক্ষার্থীর বড় ভাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রূপসদী জামিদা মনসুর উচ্চ বিদ্যালয়ে গত শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার সময় বিজ্ঞান বিভাগের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের রুমে হট্টগোল শুনে প্রধান শিক্ষক একটি গাছের ডাল নিয়ে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে। এ সময় শিক্ষার্থী আশিক মিয়া অন্যদেরকে বলে, স্যার আসছে তোমরা থামো। 

এই সময় প্রধান শিক্ষক বিল্লাল হোসেন তার হাতে থাকা গাছের ডাল দিয়ে এলোপাতাড়ি আশিককে পেটাতে শুরু করেন এবং এক সময় ওই শিক্ষার্থী জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এই খবর শুনে তার পরিবারের সদস্যরা এসে তাকে বাড়িতে নিয়ে যায় ও প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। তার অবস্থার অবনতি হলে দুপুরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

নির্যাতিত শিক্ষার্থী আশিক মিয়া জানান, দুপুর ১১ টার সময় আমাদের ক্লাসের কিছু ছাত্র এমনি চিল্লাচিল্লি করছিল। এ সময় আমাদের প্রধান শিক্ষক বিল্লাল স্যার একটি লাঠি নিয়ে আমাদের ক্লাসে আসছিল। আমি তখন আমার সহপাঠীদের বলি, স্যার আসছে তোমরা থামো। এ কথা বলার পর স্যারের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে আমাকে এলোপাথাড়ি আমাকে পিটাতে থাকেন এবং এক সময় আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। পরে বাড়ি যেয়ে আমার জ্ঞান ফিরে পাই, আমি  হাঁটতে পারছি না, খেতে পারছি না, সারা শরীরে প্রচন্ড ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।

নির্যাতিত শিক্ষার্থীর বড় ভাই লিটন মিয়া জানান, আমার ভাইকে স্কুলে অন্যায়ভাবে মেরেছে প্রধান শিক্ষক, আমার ভাইয়ের কোনো দোষ নেই। একজন মানুষ এভাবে আর একটা মানুষকে মারতে পারে না। আমার ভাইকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি, ভাইয়ের অবস্থা ভালো না। আমি বিচার চেয়ে ইউএনও স্যারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি ।

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক বিল্লাল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি তেমন মারিনি দুই একটা মাইর দিয়েছি এর মধ্যে একটা মাইর অন্যভাবে পড়েছে । ছেলেপেলে চিল্লাচিল্লি করছিল তাই মেরেছি। ছাত্রদের মারা যায় কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিষয়টা মিটমাট হয়ে গেছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু তৌহিদ জানান, এই বিষয়টি সম্পর্কে আমি খবর পেয়েছি এবং বর্তমানে আমি স্কুলে রয়েছি বিষয়টির খোঁজ খবর নিচ্ছি। আপনাকে আমি পরে আরো বিস্তারিত বলতে পারব।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একি মিত্র চাকমা জানান, বিষয়টি আমি আপনার কাছ থেকে শুনলাম। আমি জেলা সদরে আছি, এসে আমি বিষয়টির খবর নিব। অভিযোগ দিয়ে থাকলে অবশ্যই তদন্ত কমিটি গঠন করে আমি এর ব্যবস্থা নেব।

 

এসকেএইচ//