• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৯, ০৫:৪৪ পিএম

বাম্পার ফলনের আশাবাদ

শার্শায় বোরো চাষের ধুম 

শার্শায় বোরো চাষের ধুম 
ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। ছবি-জাগরণ

 

যশোরের শার্শা উপজেলায় চলতি মৌসুমে শুরু হয়েছে বোরো চাষাবাদ। ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এখন মাঠে মাঠে পানি সেচ, জমি প্রস্তুতি ও চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। তবে মাঝে মাঝে বিদ্যুতের লো-ভোল্টেজের কারণে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিকমতো থাকলে সুষ্ঠুভাবে ধান ঘরে তুলতে পারবে। তবে লোকসান ঠেকাতে আগামী বোরো ধান ক্রয় মৌসুমে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার দাবি জানান তারা।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে শার্শা উপজেলায় এবার ২২ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ৫শ’ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের উৎপাদন বেশি হচ্ছে। এর মধ্যে ব্রি-ধান ২৮, ব্রি-ধান ৫০, ব্রি-ধান ৬৫, ব্রি-ধান ৬৭, ব্রি-ধান ৮১ সহ হাইব্রিড মিনিকেট ধান চাষ হচ্ছে। 

উপজেলায় চলতি মৌসুমে চাষিদের মধ্যে বোরো চাষের ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। শীতের প্রকোপ কিছুটা কম থাকায় কৃষকরা কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছে।

কৃষকরা জানান, প্রতিবছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়ে থাকে। এ মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। ফলে শীত এবং কুয়াশার প্রকোপ অনেক কম থাকায় বোরো ধানের চারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কম। কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটে তাহলে এ বছরও বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা।

শার্শার কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম বলেন, গভীর নলকূপ দিয়ে আমাদের চাষাবাদ করতে হয়। সবাই একসাথে জমিতে চারা রোপণে ও জমি প্রস্তুতিতে নলকূপের উপর কিছুটা চাপ পড়েছে। অপরদিকে মাঝে মাঝে বিদ্যুতের ভেল্কিবাজি চলছে। দিনে কয়েকবার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করে। সাথে রয়েছে বিদ্যুতের লো-ভোল্টেজ। গভীর নলকূপ থেকে ঠিকমতো পানি না পাওয়ায় জমি প্রস্তুতি করতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।

বেনাপোলের কাগজপুকুর গ্রামের কৃষক মজিবুর রহমান বলেন, বিঘা প্রতি জমি চাষ করতে খরচ পড়ে ১০ হাজার থেকে ১১ হাজার। এর মধ্যে সার, কীটনাশক, জমি চাষ, রোপণ, পানি সেচ, ধান কাটা-মাড়াই রয়েছে। বিঘা প্রতি ফলন হয় ২০ থেকে ২২ মণ। বর্তমান বাজারে ধানের দাম ৬৫০ টাকা করে। যাদের নিজস্ব জমি আছে তাদের কিছুটা লাভ থাকে। কিন্তু যারা বর্গাচাষি তাদের কিছুই থাকে না। এতে করে প্রতিবছর আমাদের লোকসান গুনতে হয়। সরকার যদি সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করে তাহলে ন্যায্য দাম পাওয়া যাবে। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সৌতম কুমার শীল জানান, চলতি বছরে বোরো মৌসুমে ৪শ’ কৃষককে এক বিঘা জমি প্রতি সার, বীজ সহায়তা প্রদান এবং ৯৩ জন কৃষক-কৃষাণীকে এনএডিবির আওতায় সার, বীজ বিতরণসহ বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি বছর বাম্পার ফলন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন কৃষি কর্মকর্তা।

খ.তা/