• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৯, ০৬:৫২ পিএম

কেরোসিন ঢেলে ঘুমন্ত স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা

কেরোসিন ঢেলে ঘুমন্ত স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা

 

আগুন ধরিয়ে দিতেই ঘুম ভেঙে গিয়েছিল শিউলি আক্তারের। তখন সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টা। সারা গায়ে আগুন নিয়ে চিৎকার করে রুমের বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন তিনি। স্বামী শহিদুল তখন বিছানায় বসে তাকিয়ে দেখছেন। পরে পাশের রুমে থাকা স্বজনেরা এসে আগুন নিভিয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাঁচতে পারেননি শিউলি।

গভীর রাতে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামের আব্দুর রশিদ মিয়ার বাসার ভাড়াটিয়া শিউলি আক্তারের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন স্বামী শহিদুল ইসলাম। সোমবার দিবাগত রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে যায় তার স্বজনেরা, সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার বিকাল পৌনে তিনটার দিকে তার মৃত্যু হয়। মারা যাওয়ার আগে স্বজনদের কাছে ভয়াবহ এই ঘটনার কথা বলে গেছেন শিউলি।

চিকিৎসকেরা জানান, আগুনে শিউলির শ্বাসনালীসহ শরীরের ৫৩ শতাংশই পুড়ে গিয়েছিল।

শিউলির বাবা শুকুর আলী জানান, ১২ বছর আগে কিশোরী মেয়েকে শহিদুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে দেন। স্ত্রী আমার মেয়েকে প্রায় সময নির্যাতন করতো, তাদের সংসারে বনিবানা না হওয়ায় আমার মেয়ে একাই থাকতেন উপজেলার মুলাইদ গ্রামের আব্দুর রশিদ মিয়ার বাড়িতে। ভাড়া থেকে আমার মেয়ে ছাতির বাজার ডিবি এল কারখানায় চাকরি করতো, সংসারের শুরু থেকেই শহিদুল কিছু করতেন না, আমার মেয়ে বেতন তুলেই চলতো সংসার। কিন্তু চার বছর আগে শহিদুল ইয়াবায় আসক্ত হয়ে পড়েন। এরপর শুরু হয় অশান্তি। প্রায়ই সময় আমার মেয়েকে মারধর-গালিগালাজ করতেন তিনি। বেতনের সময় হলেই টাকা নেওয়ার জন্য শহিদুল শিউলির কাছে আসতো। টাকা না দেওয়ায় আমার মেয়েকে হত্যা করেছে শহিদুল।

শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল মালেক জানান, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শিউলিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। পরে বিকাল পৌনে তিনটার দিকে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় তার স্বামী শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।

কেটি