• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৯, ০৩:৫৩ পিএম

ইউরিয়া সারের দাম নিয়ে তেলেসমাতি

ইউরিয়া সারের দাম নিয়ে তেলেসমাতি
স্তুপ করে রাখা সারের বস্তা। ছবি-জাগরণ

 

তেলেসমাতি কাণ্ড ঘটছে ইউরিয়া সারের দাম নিয়ে। একেক ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীর নিকট একেক রকম। কেউ নিচ্ছে সাড়ে আটশ’, কেউ নয়শ’, কেউবা হাজারের নিচে নামছে না। আবার যখন দেখে একটু সচেতন কৃষক তখন হয়ে যায় আটশ' টাকা বস্তা। এমন চিত্র সিরাজগঞ্জের পুরো কাজিপুরের চরবিড়া এলাকায় দেখা গেছে।

কাজিপুরের (বিসিআইসি) তালিকাভুক্ত ডিলাররা সারের উৎপাদন বন্ধ, আনা খরচ বেশি অথবা সার সংকটের কথা বলে ইউরিয়াসহ অন্যান্য সারের অধিক মূল্য নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। 

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় মোট ১৭ জন বিসিআইসি ডিলার ও ৯৪ জন খুচরা সার ডিলার রয়েছে। প্রতি বস্তা ইউরিয়া সারের বাজার মূল্য বেধে দেয়া হয়েছে বস্তা প্রতি আটশ’ টাকা। চলতি মৌসুমে কাজিপুরে মোট ১২ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রায় কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। চাষের শুরু থেকেই সার দেয়ার প্রয়োজন পড়ে। এ সুযোগে ডিলাররা সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন। আর সুযোগমত চাষিদের কাছ থেকে বস্তা প্রতি ১শ’ থেকে ২শ’ টাকা বেশি দাম নিচ্ছেন। উপজেলার সোনামুখী, ঢেকুরিয়া, উপজেলা সদর, নাটুয়ারপাড়া. মেঘাই সবত্রই একই চিত্র। একদিকে সারের কৃত্রিম সংকট অন্যদিকে বেশি দামের কারণে চাষিরা ইরি-বোরে চাষে হিমশিম খাচ্ছেন। 

ভেটুয়া গ্রামের সামাদ ও চরগিরিশ গ্রামের কৃষক ঠান্ডু মিয়া বলেন, ডিলারদের কাছে ঘুরে ঘুরে সার পাচ্ছি না। আমার কমপক্ষে ৭ বস্তা সার দরকার। খুচরা সার ডিলারের মাত্র তিন বস্তা সার পেয়েছি-তাও প্রতিবস্তায় ১শ’ টাকা করে বেশি দিয়ে। এ অবস্থা থাকলে চাষাবাদ করবো কিভাবে। 

নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক একাধিক ডিলার জানান, বেশি ভাড়া দিয়ে সার আনতে হচ্ছে। তাছাড়া তাই বেশি দামে সার বিক্রি না করে উপায় নেই। 

এ বিষয়ে কাজিপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রেজাউল করিম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, উপজেলায় সারের কোন সংকট নেই। দাম বেশি নেয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ পাইনি। পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

কেটি