• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৯, ০৫:৫৫ পিএম

নদীপাড়ের মাটি কেটেই চলছে ইটভাটা

নদীপাড়ের মাটি কেটেই চলছে ইটভাটা

 

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মাথাভাঙ্গা নদীপাড়ের মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। প্রকাশ্য দিবালোকে বাধাহীনভাবে শ্রমিক দিয়ে চলছে মাটি কাটার মহোৎসব। এলাকার চিহ্নিত কয়েকজন ইটভাটায় ওই মাটি বিক্রি করছে বলে জানা গেছে। তবে এ বিষয়ে প্রশাসনের কোনো কার্যকর ভূমিকা নিতে দেখা যাচ্ছে না।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চরগোয়াল গ্রাম ও ভবানীপুরের পাশ দিয়ে জেলার দ্বিতীয় প্রধান নদী মাথাভাঙ্গা প্রবাহিত হয়েছে। ওই নদীর পাশে রামনগর ও চরগোয়াল গ্রামের মাঝে নদী পাড়ের মাটি কাটা হচ্ছে। এর মধ্যে চরগোয়াল গ্রামের নাজিম উদ্দীন ও মুন্নাত আলী নদীপাড়ের জমি নিজেদের দাবি করে মাটি বিক্রি করেছে। বেতবাড়ীয়া গ্রামের রুবেল হোসেন, রাজন মিয়া, মামুন হোসেন ও হাড়াভাঙ্গা গ্রামের খোরশেদ আলী শ্রমিক দিয়ে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছে।

নদীপাড়ের মাটি কিভাবে কাটা হচ্ছে জানতে চাইলে রুবেল হোসেন জানান, নাজিম উদ্দীন ও মুন্নাত আলীর কাছ থেকে আমরা দেড় লাখ টাকায় মাটি কিনেছি। শ্রমিক দিয়ে কেটে পাওয়ার টিলার ট্রলিতে বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করছি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভবানীপুর ও চরগোয়াল গ্রামের সংযোগ রাস্তাটি কাঁচা হলেও মাঠের ফসল তোলা ও দুই গ্রামের মানুষের চলাচলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একমাত্র এই রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন চরগোয়ালগ্রামের ছেলেমেয়েরা রামনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যাতায়ত করে। তাছাড়া দুই গ্রামের মানুষের স্বল্প সময়ে যাতায়াতের জন্য রাস্তাটি ব্যবহার করে। নদী মাটি সরিয়ে দেওয়ায় রাস্তার পাশাপাশি আশেপাশের আবাদি জমিও ভাঙনের কবলে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

ভবানীপুর গ্রামের আছের আলী জানান, যেভাবে মাটি কাটা হচ্ছে তাতে ভাঙন অবধারিত। আগামী বর্ষা মৌসুমেই আমাদের আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

রামনগর আরবিজিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী জানায়, নদীর মাটি যেভাবে কাটা হচ্ছে তাতে সবার আগে রাস্তাটি ভেঙে যাবে। এতে সবচেয়ে বিপাকে পড়তে হবে আমাদের। প্রকাশ্যে মাটি কাটার বিরুদ্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেন। জানা গেছে, মাটি ও বালু রক্ষা আইন অনুযায়ী নদী কিংবা নদী পাড়ের মাটি কাটা দণ্ডনীয় অপরাধ। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন মাটি কাটার বিরুদ্ধে দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষ্ণুপদ পাল জানান, এ বিষয়টি আমি জানতাম না। এই মুর্হূতে সেখানে স্থানীয় ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে পাঠিয়ে মাটি কাটা বন্ধ করব। এরপরেও যদি তারা মাটি কাটে তাহলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।

এসসি/