• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৯, ১০:২২ এএম

ঠাকুরগাঁওয়ে সেতু আছে, রাস্তা নেই!

ঠাকুরগাঁওয়ে সেতু আছে, রাস্তা নেই!

 

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার  জাবরহাট ইউনিয়নের আমসারা খাড়িপাড়া এলাকায় একটি সেতুর সংযোগ সড়ক বন্যার পানিতে ভাসিয়ে যাওয়ার ৩২ বছরে পরেও সংস্কার করা হয়নি। সংযোগ সড়ক না থাকায় বছরের পর বছর দুর্ভোগ পোহাচ্ছে ২০টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ।

১৯৮৭ সালে জাবরহাট ইউনিয়নে আমসারা খাড়িপাড়া এলাকায় টাঙ্গন নদীর উপর নির্মিত সেতুর দুই পারের সংযোগ সড়ক বন্যার পানিতে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। তারপর থেকে ওই সংযোগ সড়কটি আর সংস্কার করা হয়নি। ফলে সেতুর পূর্ব পাশের সাদামহল, বনগাঁ, ভাণ্ডারখন্ড, সেনুয়া গ্রামের বাসিন্দারা নিদারুন কষ্টে যাতায়াত করে আসছে। ওই এলাকার বাসিন্দা ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের জাবরহাট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে যেতে সারা বছর দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রতিদিন পানি ভেঙ্গে শিক্ষার্থীদের স্কুল কলেজে যেতে হয়। বর্ষার সময়ে এই দুর্ভোগ যেনো হাজার গুণে বেড়ে যায়। অথচ সেতুর সংযোগ রাস্তাটি সংস্কার করা হলে পীরগঞ্জ এলাকার ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষরা খুব সহজে কম সময়ে যাতায়াত করতে পারত।

জাবরহাট কলেজের শিক্ষার্থী শফিকুর ইসলাম, সীমা আকতার  জানান, সড়কটি মেরামত না করায় সারা বছর আমাদের নদীর পানি ভেঙ্গে স্কুল কলেজে যেতে হয়। আর বর্ষাকালে দূরবর্তী বিকল্প রাস্তা পাড়ি দিয়ে স্কুলে যেতে হয়। এতে সময় ও কষ্ট দুটোই বেশি হয়।

জাবহাট খাড়িপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল খালেক জানান, জাবরহাট সোনালী ব্যাংক ও তহসিল অফিস সেতুর পশ্চিম পার্শ্বের হওয়ায় সামান্য একটু রাস্তার জন্য আমাদের দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে কষ্ট করতে হচ্ছে। এটি মেরামতের জন্য বিভিন্ন দফতরের যোগাযোগ করেও ফল পাচ্ছি না।

জাবরহাট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বলেন, আমসারা খালের সেতুর উভয় পাশের সংযোগ সড়কটি বন্যার পানিতে ভেসে নিয়ে যাওয়ার পর আর সংস্কার করা হয়নি। স্থানীয বাসিন্দাদের দাবির মুখে সড়কটি সংস্কারের জন্য একাধিকবার উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। সেই অনুযায়ী উপজেলা প্রকৌশল অধিদফতরের আওতায় মাপযোগও করা হয়। কিন্তু সড়কটি নির্মাণে বরাদ্দ না পাওয়ায় ব্রিজটি এলাকার মানুষের কাজে আসছে না।

এ বিষয়ে পীরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী ইসমাইল হোসেন জানান, পূর্বের প্রকৌশলী মহোদয় সেতুর বাস্তব অবস্থা দেখে সেটি মেরামতের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে স্টিমেট দাখিল করেছেন। সেটি বর্তমানে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। অনুমোদন পাওয়া গেলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পীরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল ইসলাম জিয়া বলেন, স্থানীয বাসিন্দাদের দাবি অনুযায়ী আমসারা সেতু ও রাস্তা মেরামতের পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। আশা করছি খুব শিগগিরই প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এএস