ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার বহরমপুর গ্রামে বিজিবি ও গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ১৫ জন। এ ঘটনায় বিজিবির দুটি মামলা রুজু করা হলেও গত ৩ দিনে নিহতের স্বজনদের লিখিত অভিযোগ মামলা হিসেবে রুজু করেনি পুলিশ।
এরই ধাবাহিকতায় বিজিবির দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার ও গ্রামবাসীদের মামলা রুজুর দাবিতে রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে হরিপুর প্রেস ক্লাবের সামনে স্থানীয় নাগরিক সমাজের ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্দনে বক্তব্য রাখেন হরিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামাল উদ্দীন,আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম আলমগীর, উপজেলা ছাত্র লীগের সভাপতি মিলন প্রমূখ।
এর আগে শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিজিবি’র গুলিতে নিহত কোচিং সেন্টারের শিক্ষক নবাব আলীর বাবা নজরুল ইসলাম, কৃষক সাদেক আলীর বড় ভাই আব্দুল বাসেদ এবং শিশু জয়নুলের বাবা নুর ইসলাম বাদী হয়ে ৫০ বিজিবির অধিনায়ক ও বেতনা বিওপির সদস্যদের আসামি করে পৃথক ৩টি মামলার লিখিত এজাহার দিলেও পুলিশ সেসব মামলা রুজু করেনি। এ ব্যাপারে হরিপুর থানার ওসি আমিরুজ্জামান গ্রামবাসীদের কোনো অভিযোগ পায়নি বলে জানান।
এদিকে বিজিবি গুলিতে আহতদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এর মধ্যে সুয়েল রংপুর মেডিকেলে চিকিৎসাধীন। দিনাজপুর মেডিকেলে বাবু ও জয়গুন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। অথচ জেলা প্রশাসক শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে আহতদের চিকিৎসার সব দায়িত্ব নেয়ার ঘোষণা দিলেও এখন পর্যন্ত গুলিবিদ্ধরা একটি টাকাও পায়নি। ফলে আহতদের বিনা চিকিৎসায় মারা যাওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসীরা। কারন আহতদের প্রায় সবাই দরিদ্র দিনমজুর পরিবারের।
মানববন্ধনে বক্তারা গ্রামবাসীর উপর গুলিবর্ষণকারী বিজিবি সদস্যদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিসহ আহতদের সুচিকিৎসা প্রদান, নিহতদের মামলা অবিলম্বে রুজু, বিজিবির দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার, স্থানীয় চোরাকারবারী ও লাইনম্যানদের গ্রেফতারসহ ৮ দফা দাবি জানান।
এসসি/