• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৯, ১১:৪২ এএম

তিন গ্রামের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো

তিন গ্রামের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো
খেজুরডাঙ্গা নদীর উপর নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ এই সাঁকো- ছবি: জাগরণ


সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়নে একটি বাঁশের সাঁকো তিন গ্রামের মানুষের যোগাযোগের মাধ্যম। খেজুরডাঙ্গা নদীর উপর নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ এই সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন শিশু শিক্ষার্থীসহ প্রায় ১৫ হাজার মানুষ যাতায়াত করে। ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো পারাপারে প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। চরম ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন খেজুরডাঙ্গা, পার খেজুরডাঙ্গা ও বাঁশতলা গ্রামের মানুষ।

স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানান, খেজুরডাঙ্গা, পার খেজুরডাঙ্গা ও বাঁশতলা গ্রামে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের বাসবাস। ইউনিয়নের ভিতর দিয়ে বয়ে যাওয়া খেজুরডাঙ্গা নদীর উপর ব্রিজ না থাকায় এই সাঁকো দিয়ে তিন গ্রামের মানুষের যাতায়াত করতে হয়। তারা বলেন, অধিকাংশ সময় স্কুলে যাতায়াতের জন্য সাঁকো থেকে পা পিছলে নদীতে পড়ে যায় কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা। এছাড়া নদীর অপর পাড়ে চাষাবাদের কাজ করতে যেতে এবং ফসল বাড়ি আনতে কৃষকদের চরম সমস্যায় পড়তে হয়।

ছোবহান হোসেন নামে এক অভিভাবক জানান, সন্তানদের স্কুলে যাওয়ার সময় সাঁকোটি পার করে দিতে হয়। আবার স্কুল ছুটির পর তাদেরকে পার করে নিয়ে আসতে হয়। এতে ভোগান্তি ও কর্মক্ষেত্রে অনেক সমস্যা হয়।

শিশু শিক্ষার্থী ফারহা জানায়, সাঁকো পার হতে অনেক ভয় করে। তারপরও স্কুলে যাওয়ার জন্য ভয়ে ভয়ে পার হতে হয়। খেজুরডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিপ্লব কুমার গাইন দুর্ভোগের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, নদীর অপর পাশের তিনটি গ্রামের শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত দীর্ঘ ও ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে স্কুলে যাতায়াত করে। তিনি খেজুরডাঙ্গা নদীর উপর এই সাঁকোর স্থানে নতুন ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানান।

আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা জানান, প্রশাসনিক জটিলতার কারণে উক্ত স্থানে ব্রিজ নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জেনেছি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করে পদক্ষেপ নেয়া হবে তিনি জানান।

এমএ/ টিএফ