• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৯, ০৬:৫১ পিএম

গর্ভের সন্তান নষ্ট করে স্ত্রীকে বাথরুমে আটকে রাখার অভিযোগ

গর্ভের সন্তান নষ্ট করে স্ত্রীকে বাথরুমে আটকে রাখার অভিযোগ

 

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় যৌতুক লোভী স্বামীর নির্যাতনে জোরপূর্বক স্ত্রীর গর্ভের সন্তান নষ্ট করে বাথরুমে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসী ওই গৃহবধূকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে কলারোয়া হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি সাতক্ষীরা সদর হাপতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে বুধবার রাতে সাতক্ষীরার কলারোয়া থানায় ৪ জনের নামে অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

অভিযোগের বিবরণে জানা যায়, গত ৬ বছর পূর্বে উপজেলার বড়ালী গ্রামের মৃত ওজিয়ার সরদারের কন্যা সুফিয়া খাতুনের সাথে একই গ্রামের নেছার আলীর ছেলে নাজমুল ইসলামের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী সুফিয়া খাতুনের উপর চলে নির্যাতন। এমনকি তার প্রথম সন্তান নষ্ট করে দেয়া হয়। তার পিতার আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় স্বামীর নির্যাতন মুখ বুঝে সহ্য করে আসছিল সে।

এরই মধ্যে সুফিয়া খাতুন দ্বিতীয়বার অন্তঃস্বত্বা হয়ে পড়লে স্বামী নাজমুল ইসলাম গত মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের খাবারের সাথে জোরপূর্বক সন্তান নষ্ট করার ঔষধ খাইয়ে দেয়। পরে সুফিয়া খাতুনের পেটে যন্ত্রণা শুরু হলে স্বামী নাজমুল স্ত্রী সুফিয়া খাতুনকে ধরে নিয়ে বাথরুমে আটকে রাখে। সেখানে সুফিয়া খাতুনের রক্ত ঝরতে থাকে। একপর্যায়ে তার চিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন এসে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে কলারোয়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সে সাতক্ষীরায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
 
এ ব্যাপারে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মসিরুজ্জামান অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগের আলোকে পুলিশ বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখচ্ছেন।

কেএসটি