হাইকোর্টের দেয়া রায়ের কারণে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না সাবেক মন্ত্রী নাজমুল হুদা। তবে আপিল বিভাগ থেকে স্থগিতাদেশ পেলে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন।
বিষয়টি স্বীকার করে নাজমুল হুদা আজ সোমবার (১৯ নভেম্বর) ‘জাগরণ'কে জানিয়েছেন, নিয়ম অনুযায়ী বিচারিক আদালত এই রায় গ্রহণ করার ৪৫ দিনের মধ্যে সেখানে আত্মসমর্পণ করতে হবে। এরপর আমি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল আবেদন করব। একইসঙ্গে হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চাইব। স্থগিতাদেশ পেলে নির্বাচন করতে পারব।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমান অবস্থায় তিনি আইনত নির্বাচন করতে পারবেন না। তবে আপিল বিভাগ থেকে হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ পেলে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন।
প্রায় আড়াই কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়েরকৃত মামলায় নাজমুল হুদাকে ৭ বছরের এবং তার স্ত্রী সিগমা হুদাকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। ওই রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের পুনঃশুনানি শেষে গত বছরের ৮ নভেম্বর হাইকোর্ট নাজমুল হুদাকে ৪ বছরের কারাদণ্ড দেয়। একইসঙ্গে রায়ের ৪৫ দিনের মধ্যে তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হয়।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট বেঁধে নাজমুল হুদা নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছেন বলে গণমাধ্যমে খবর এসেছে।
জানতে চাইলে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের ২(ঘ) অনুযায়ী আমি মনে করি তিনি সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এটা আমার নিজস্ব আইনি অভিমত। তিনি বলেন, নিম্ন আদালতের রায়ে যে সাজা দেওয়া হয়েছে, উচ্চ আদালতের রায়ে সে সাজা থেকে খালাস পেতে হবে অথবা উচ্চ আদালতে সে সাজা স্থগিত হতে হবে। তবেই তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। যেহেতু উচ্চ আদালতের রায়ে উনাকে ৪ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে, তাই নির্বাচনে অংশ নিতে হলে তাকে সর্বোচ্চ আদালত থেকে বেকসুর খালাস পেতে হবে।
নাজমুল হুদা বলেন, এই রায়টা অনেক আগেই প্রকাশ হওয়া উচিত ছিল। এটা না হয়ে আমার ভীষণ অসুবিধা হয়েছে। আমাকে খুব তড়িঘড়ি করে মুভ করতে হবে। কারণ এটা যেহেতু এখন বিচারিক আদালতে যাবে। তাছাড়া আমি জানলাম রায়টা কী হয়েছে। এতদিন পর্যন্ত তো আমি জানতেই পারি নাই, কারণ রায় দেয়া হয় নাই। হলে হয়ত আমি স্ট্যান্ড নিতে পারতাম।
মাআ/ এফসি