• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২৮, ২০১৯, ০৯:৪০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২৮, ২০১৯, ০৯:৪০ পিএম

দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

হোটেল মালিকের বিরুদ্ধে মামলা

হোটেল মালিকের বিরুদ্ধে মামলা

রাজধানীর ফার্মগেটে সম্রাট আবাসিক হোটেলে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় হোটেল মালিক জসিম উদ্দিন চৌধুরী কচি ও হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেল আহমেদ সুমন ওরফে লিটনসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে আদালতে হত্যা মামলা হয়েছে। 

শিক্ষার্থী মরিয়ম চৌধুরীর বাবা মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী গত ১৪ মে ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। সোমবার (২৭ মে) ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম মামলাটি আমলে নিয়ে তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এ বছরের ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

গত ২ এপ্রিল বিকালে ফার্মগেটের সম্রাট আবাসিক হোটেল থেকে দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, হোটেলের সপ্তম তলা থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। শিক্ষার্থীরা হলেন- তেজগাঁও কলেজের শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম সজল ও ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী মরিয়ম আক্তার জেরিন। স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে তারা ওই হোটেলের রুম ভাড়া নিয়েছিলেন।

মামলার অভিযোগে মরিয়মের বাবা মোস্তাক আহমেদ বলেছেন, গত ২ এপ্রিল তার মেয়ে মরিয়মের খোঁজ নেয়ার জন্য ফোন দিলে তেজগাঁও থানা পুলিশ ফোন রিসিভ করে এবং একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে জানিয়ে তাকে থানায় যেতে বলে। পরে থানায় গিয়ে তিনি দুটি মরদেহ দেখতে পান। পুলিশ জানায়, তার মেয়ের মরদেহ সম্রাট হোটেলের ৮০৮ নম্বর রুম থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট সেবনে মরিয়মের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।

মোস্তাক আহমেদ এজাহারে উল্লেখ করেন, তিনি পুলিশকে ময়নাতদন্ত করতে বললেও পুলিশ তাতে রাজি হয়নি। দ্রুত মেয়ের মরদেহ নিয়ে ঢাকাতেই দাফন করতে বলে পুলিশ। এ কথা শোনার পর মোস্তাক আহমেদ সম্রাট হোটেলে যান এবং দেখতে পান, পহেলা এপ্রিল এক ছেলের স্ত্রী পরিচয় দিয়ে মরিয়ম সেই হোটেলের একটি রুম ভাড়া নিয়েছিলো। তবে তিনি এ তথ্য বিশ্বাস করেন না বলে এজাহারে বলেন তিনি।

মোস্তাক আরও উল্লেখ করেন, আমার মেয়ের সঙ্গে কারও সম্পর্ক নেই। এ হোটেলের মালিক ও তার সহযোগীরা পরিকল্পিতভাবে আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। হোটেলের সব সিসি ক্যামেরা পুলিশের হেফাজতে আছে। পুলিশের কাছে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করতে গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। সে কারণে তিনি আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

এবিষয়ে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার মঙ্গলবার (২৮ মে) বলেন, দুই শিক্ষার্থীর ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা প্রতিবেদন হাতে পেলে বোঝা যাবে আসলে কী ঘটেছিল। যদি হত্যা প্রমাণিত হয়, সেক্ষেত্রে  জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

এইচ এম/বিএস