• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০১৯, ০৯:৩৪ এএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ৮, ২০১৯, ১০:২৮ এএম

শ্যামবাজার বণিক সমিতির সিদ্ধান্ত

অভিযানে কমছে পেঁয়াজের দাম

অভিযানে কমছে পেঁয়াজের দাম

পেঁয়াজের পাইকারি বাজারে একের পর এক অভিযান, পাশাপাশি সরকারের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের ভূমিকা রাখতে বলার পর এবার দাম কিছুটা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা শ্যামবাজার বণিক সমিতি। আজ শুক্রবার (৮ নভেম্বর) থেকে তারা নিজেদের বেঁধে দেয়া মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করবে বলে জানিয়েছে এর চেয়ে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করলে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শ্যামবাজার বণিক সমিতির দেয়া মূল্যতালিকা অনুযায়ী পাইকারি ব্যবসায়ীরা মিয়ানমারের পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি করবেন। এছাড়া মিসর, তুরস্ক ও চীনের পেঁয়াজের কেজিপ্রতি ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করা হবে। 

দুই মাস ধরে পেঁয়াজের লাগাতার দাম বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস। দাম বাড়ানোর জন্য ব্যবসায়ীদের কারসাজি ও নজরদারি অভাবকে দায়ী করছেন তারা। ভারতের পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করার সংবাদে গত ২৯ সেপ্টেম্বর দেশের পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকার ওপরে উঠে যায়। সর্বশেষ তা ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়ও বিক্রি হয়েছে। অসাধু মুনাফালোভী ব্যবসায়ী কৌশলে দাম বাড়িয়ে পেঁয়াজ বিক্রি করছে। মিয়ানমার ও মিসর থেকে পেঁয়াজ আসার পরও দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেনি। 

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সোমবার (৪ নভেম্বর) বিকালে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমাদের চেষ্টার কোনো কমতি নেই। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে চট্টগ্রামে একটা ফুল টিম গেছে। একজন উপসচিবকে সেখানে পাঠানো হয়েছে। খাতুনগঞ্জে গিয়ে তারা বাজার মনিটরিং করছেন। সব দিক দিয়েই আমরা দেখছি।

‘মিয়ানমারসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করেও তো দাম কমছে না। এর কারণ কী’- এ প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আসলে আমাদের ব্যবসায়ীরা আন্তরিক হলে এমনটা হওয়ার কথা নয়। ভারত রফতানি বন্ধ করে দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে এখানে দাম বাড়িয়ে দেয়া হল। কেন, তোমরা তো কম দামে কিনেছো। তোমরা কেন দিগুণ দামে বিক্রি করবে। ব্যবসায়ীদের সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। তা নাহলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে।

দেশের বৃহত্তম পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে আকস্মিক অভিযান চালায় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত   - ছবি : সংগৃহীত

রোববার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দেশের বৃহত্তম পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে আকস্মিক অভিযান চালায় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। মিয়ানমার থেকে আমদানি করা প্রতি কেজি ৪২ টাকার পেঁয়াজ সেখানে বিক্রি করা হচ্ছিল ৯০ থেকে ১১০ টাকায়। অছি উদ্দিন ট্রেডার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান নিজেদের আড়তে মূল্যতালিকায় মিয়ানমারের পেঁয়াজের দাম লেখা ৬০-৭০ টাকা। কিন্তু আড়তের বিক্রয় রেজিস্ট্রার পরীক্ষা করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেখতে পান সিলেটগামী একটি চালানে পেঁয়াজের বিক্রয়মূল্য লেখা আছে ১১০ টাকা। প্রতারণা করে মূল্যতালিকা থেকে অধিক দামে পেঁয়াজ বিক্রি করার অপরাধে অছি উদ্দিন ট্রেডার্সকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের খবর পেয়ে মিয়ানমারের পেঁয়াজ নিয়ে নতুন উপায়ে কারসাজির সঙ্গে জড়িত কমিশন এজেন্টরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। 

আমদানি করা পেঁয়াজের দাম অযৌক্তিকভাবে বেশি রাখার দায়ে বুধবার (৬ নভেম্বর) শ্যামবাজারের ৬টি আড়তে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেই সঙ্গে দাম কম রাখার নির্দেশনাও দেয়া হয়। প্রতি কেজি মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৭৫ টাকার মধ্যে বিক্রির নির্দেশনা দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবে এদিন কয়েক ঘণ্টাব্যাপী অভিযান চললেও পরে অতিরিক্ত দামেই বিক্রি হয় পেঁয়াজ।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় উপসচিব মোস্তাফা জামাল হায়দার এদিন বলেন, প্রতি কেজিতে ৬৮ টাকা বেশি দাম হওয়ার কথা না। এর সঙ্গে লেবার,  ট্রান্সপোর্ট খরচসহ ৭১ টাকার বেশি হওয়ার কথা না।

এফসি

আরও পড়ুন