• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৯, ০৬:১০ পিএম

মিয়ানমারে অস্থিরতা

টেকনাফে কাঠ ও গবাদি পশু আমদানি বন্ধ

টেকনাফে কাঠ ও গবাদি পশু আমদানি বন্ধ

 

মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ অস্থিরতার কারণে প্রায় বিশ দিন ধরে মিয়ানমার থেকে সব ধরনের আমদানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। বিশেষ করে গবাদি পশু ও কাঠ আমদানি বন্ধ থাকায় স্থানীয় বাজারে মাংসের সংকট ও বৃদ্ধি পেয়েছে দাম। এসব কারণে সীমান্ত বাণিজ্য ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন।

টেকনাফ শুল্ক বিভাগ জানায়, গত ২৩ জানুয়ারি হতে কক্সবাজারের টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ করিডোরে পশু আমদানি না হওয়ায় সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। চলতি বছর ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত ৩ হাজার ৩৯১টি গরু, ৪৪০টি মহিষ আমদানি করে ১৯ লাখ ১৫ হাজার ৫শ’ টাকা রাজস্ব আদায় হয়। এরপর থেকে করিডোরে কোন ধরনের গবাদিপশু আসেনি। চোরাইপথে গবাদিপশু আসা রোধে ২০০৩ সালে ২৫ মে শাহপরীর দ্বীপ করিডোর চালু করা হয়। করিডোর দিয়ে আসা গরু-মহিষ প্রতি ৫০০ এবং ছাগল থেকে ২০০ টাকা হারে রাজস্ব আদায় করা হয়। বিজিবি ও শুল্ক বিভাগের তত্ত্বাবধানে সোনালী ব্যাংকে রাজস্ব জমা পড়ে।

টেকনাফ উপজেলা পশু আমদানি কারক সমিতির সভাপতি ও প্যানেল মেয়র আবদুল্লাহ মনির বলেন, মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ অস্থিরতার কারণে সেদেশের ব্যবসায়ীরা রপ্তানি নিরাপদ মনে করছেন না। অভ্যন্তরীণ সমস্যায় সীমান্তে নিরাপত্তা কড়াকড়ি করা হয়। এ নিয়ে ব্যবসায়ীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাই চাহিদা পাঠানোর পরও সেদেশের ব্যবসায়ীরা পশু পাঠাচ্ছে না। তাই গত বিশ দিন ধরে পশু আমদানি বন্ধ রয়েছে। ফলে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা।

আরেক পশু ব্যবসায়ী মো. শরীফ বলেন, দেশে গবাদি পশুর চাহিদা পূরণে মিয়ানমার থেকে পশু আমদানি করা হয়। বর্তমানে পশু না আসায় এপারে গবাদি পশুর চাহিদা ও দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে টেকনাফ সীমান্ত বাণিজ্যের পণ্য আমদানিতেও প্রভাব পড়ছে। মিয়ানমার থেকে প্রতিমাসে বিপুল পরিমান কাঠ আমদানি হয়। গত তিন সপ্তাহ বন্দরে কাঠ আমদানি বন্ধ। গত জানুয়ারি মাসে স্থল বন্দরে কাঠ আমদানি করে সরকার ২ কোটি ৭২ লাখ টাকা রাজস্ব আয় করে। চলতি ফেব্রুয়ারি মাসে এ পর্যন্ত ৩০ লাখ টাকা মত রাজস্ব আয় হয় বলে জানায় শুল্ক বিভাগ।

সূত্র জানায়, জানুয়ারি মাসে টেকনাফ শুল্ক স্টেশনে রাজস্ব আদায় করেছে ২২ কোটি ১০ লাখ টাকা। সে মাসে টার্গেট ছিল ১৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। টার্গেটের চেয়ে ৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। চলতি ফেব্রুয়ারি মাসে রাজস্বের টার্গেট পূরণ নিয়ে শংকিত বলে জানায় বন্দর সংশ্লিষ্টরা।  

টেকনাফ স্থল বন্দর শুল্ক কর্মকর্তা শংকর কুমার দাশ বলেন, পশুর করিডোর থেকে সরকার প্রতি বছর কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করে আসছে। স্থানীয় প্রশাসন ও পশু ব্যবসায়ীদের সহায়তায় তা সম্ভব হয়। গত জানুয়ারি মাসের শেষে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে গবাদি পশু আসা বন্ধ রয়েছে। শুধু গবাদি পশু ও কাঠ নয়, আমদানি ও রপ্তানি সব ধরনের পণ্যতে এর প্রভাব পড়েছে। এতে চলতি মাসে রাজস্ব আদায়ের টার্গেট পূরণ নিয়ে শঙ্কা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।


কেটি