• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪, ২০১৮, ০৩:২৬ পিএম

ভিকারুননিসা উত্তাল, অধ্যক্ষের ক্ষমা প্রার্থনা 

ভিকারুননিসা উত্তাল, অধ্যক্ষের ক্ষমা প্রার্থনা 
ভিকারুননিসায় শিক্ষার্থীদের নানা স্লোগানে মিছিল, ছবি- জাগরণ

 

শিক্ষকের কথায় অপমানবোধ করে শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর (১৫) আত্মহত্যার বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করে দেশবাসী ও ছাত্রীর বাবা-মায়ের কাছে  করজোড়ে ক্ষমা চেয়েছেন ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনিন ফেরদৌস।

মঙ্গলবার (০৪ ডিসেম্বর) সকালে গণমাধ্যম কর্মীরা বেইলিরোডের স্কুল প্রাঙ্গণে তার কার্যালয়ে গেলে সবার সামনে হাত জোর করে ক্ষমা চান তিনি।

নাজনীন ফেরদৌস বলেন, বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। ঘটনাটি এতোদূর গড়াবে তা অনুধাবন করতে পারিনি। এরই মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর কি ব্যবস্থা নেয়া হবে তা মন্ত্রণালয় নির্ধারণ করে দেবে। আত্মহত্যার ঘটনায় আমি সবার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমাদের স্কুলে কিছু নিয়ম কানুন আছে, এই নিয়মকানুন মেনেই বাবা-মা স্কুলে আসেন। তার বাবা-মা শাখা প্রধানের কাছে এসে সরি বলেন, শাখা প্রধান বলেছেন আমাদের নিয়মকানুন আছে সেটা আপনাকে মানতে হবে, তার পরীক্ষায় অংগ্রহণ করার সুযোগ নেই, আর সেটা ওনারা মানতে পারেননি।

স্কুলের শিক্ষকরা অভিভাবকের সঙ্গে খারাপ আচরণের বিষয় তিনি বলেন, আমরা সকল শিক্ষকদের বলে দিয়েছি যাতে কোনো অভিভাবকের সঙ্গে কোনো শিক্ষক খারাপ আচরণ না করেন। সবা্ইকে তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে। 

এর আগে সকালে স্কুল পরিদর্শনে গিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। প্রায় ঘণ্টাখানেক সেখানে অবস্থান করেন তিনি। পরে  তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর স্কুল কর্তৃপক্ষের কোনো ত্রুটি পেলে,স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে, সকাল সাতটা থেকেই স্কুল গেটের সামনে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন অভিভাবকরাও। শিক্ষার্থীদের দাবি প্রধান শিক্ষিকার অপসারণ। একই সঙ্গে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্লাসে ফিরবেন না ।

সোমবার (০৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর শান্তিনগর থেকে অরিত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের অভিযোগ, স্কুলে নকলের অভিযোগে অপমানের জের ধরে সে আত্মহত্যা করেছে। সে ভিকারুননিসায় নবম শ্রেণিতে পড়ত।  বিকেলে সাড়ে চারটার দিকে ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসকেরা অরিত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই ছাত্রীর গ্রামের বাড়ি বরগুনা সদরে।

এইচএম/আনু/বিএস