• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৯, ১০:০১ এএম

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাঠ্যদান

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাঠ্যদান
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের দত্তাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়- ছবি: জাগরণ


চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের দত্তাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। ১৯৬২ সালে নির্মিত ৭৩নং দত্তাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন। যে ভবনে ঘটে যেতে পাবে বড় ধরণের দুর্ঘটনা।

সরেজমিনে দেখা যায়, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের ৭৩নং দত্তাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ক্লাসরুমে শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করানো হচ্ছে পাঠদান।

মাঝে মাঝে ক্লাস চলাকালীন সময়েও ছাদের প্লাস্টার খসে খসে পড়ে ছাত্র-ছাত্রী এমন কি শিক্ষকের মাথার উপর। বর্ষাকালে বেড়ে যায় আরও একধাপ বেশি দুর্ভোগ। মাথার উপর ছাঁদ থাকা সত্ত্বেও সামান্য বৃষ্টি হলেই জমে যায় বৃষ্টির পানি। বৃষ্টির পানি ছাঁদ থেকে রুমের ভিতরে ঢুকে ভিজে নষ্ট হয় বই খাতাসহ শিক্ষা সামগ্রী।

এছাড়া বর্ষাকালে বৃষ্টির পানিতে ভিজে বসার অনুপযোগী হয়ে যায় চেয়ার, টেবিল ও বেঞ্চ। দুর্ভোগের হাত থেকে রেহায় পায় না বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য নির্ধারিত অফিস কক্ষটিও। সামান্য বৃষ্টির পানিতে নষ্ট হয়ে যায় অফিসের প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র।

বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থরা জানায়, আমরা অনেক ভয়ে ভয়ে লেখাপড়া করি। মাঝে মাঝে আমাদের গাঁয়ের উপর ছাঁদের প্লাস্টার ধসে ধসে পড়ে। আমরা ক্লাসে থাকা অবস্থায় সব সময় আতঙ্কে থাকি।

বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাহাবুব আলম জানান, দুই শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে এই বিদ্যালয়ে। বিদ্যালয়টির এমনই এক বেহাল দশা যে, রোদ কিংবা বৃষ্টি পুরো বছর ধরেই চরম ভোগান্তি আর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের ছেলে মেয়েদের ক্লাস নেওয়া হয়। অতিরিক্ত রোদে বা গরমে ছাদের গায়ে থেকে প্লাস্টার ধসে ধসে ছাত্র-ছাত্রীদের মাথার উপরে পড়ে। সামান্য বৃষ্টিতেই রুমের অবস্থা বেহাল হয়ে যায়।

এ ছাড়াও আমাদের বিদ্যালয়ে ২ শিফটে ভাগ করে ক্লাস নেওয়া হয়। যার ফলে আমাদের যে পরিমাণ ক্লাসরুম প্রয়োজন সে তুলনায় আমাদের বিদ্যালয়ে ক্লাসরুম অনেক কম। বর্তমানে আমাদের বিদ্যালয়ে শিক্ষক আছে ৪ জন। আমাদের আরও একজন শিক্ষকেরও সঙ্কট।

বিদ্যালটির সভাপতি রেজাউল হক জানান, আমাদের এই বিদ্যালয়টি ১৯৬২ সালে নির্মাণ করা হয়। এরপরে একবার কোন রকমে একটি ভবনের ছাঁদের পানি পড়া রোধ করতে জলছাঁদ করে সংস্কার করে আর কোন সংস্কার করা হয়নি। এরপর দীর্ঘদিন এই ভাবেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের ছেলে মেয়েদের ক্লাস নেওয়া হয়। আমাদের এই বিদ্যালয়ে দু’টি ক্লাসরুম ও একটা শিক্ষকেরও সঙ্কট রয়েছে।

এলাকার সচেতন মহল জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত সুনজর কামনা করে বিদ্যালয়টি আবারও পূর্ণনির্মাণ করে বিদ্যালয়টিতে সুস্থ ও স্বাভাবিক শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হোক।

এসকে/টিএফ