• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৬, ২০১৯, ০৪:২২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ২৬, ২০১৯, ০৪:২৯ পিএম

সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে : প্রত্যাশা জিএম কাদেরের

সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে : প্রত্যাশা জিএম কাদেরের
জিএম কাদের -ফাইল ছবি

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, এবারের নির্বাচন অবাধ সু্ষ্ঠু হবে। আমারও প্রত্যাশা সিটি নির্বাচন সু্ষ্ঠু হবে। আমাদের প্রার্থীদের বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি দেখছি। প্রার্থী যেই হোক তার পক্ষে কাজ করতে হবে, তা না হলে বিরোধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সরকার, নির্বাচন কমিশন, পুলিশ প্রশাসন চাইলেও সব সময় অবাধ সু্ষ্ঠু নির্বাচন নাও হতে পারে। আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে এটাই বাস্তবতা, এমন সমস্যা প্রার্থীদের মোকাবেলা করতে হয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ডিএসসিসির মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন তিনি।

জিএম কাদের বলেন,  আমরা কাউন্সিলর পদে দলীয় মনোনয়ন দিতে পারবো না। তবে তাদের সেভাবে ঘোষণা দেয়া হবে। কাল পরশুর মধ্যে প্রার্থীতা ঘোষণা করবো। যাদেরকে প্রার্থী দেবো না, তারা যদি ভোট করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জাপার মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, আমি ভিন্নভাবে বলি; যে কারণে কেউ খুশি হন, কেউ বেজার হন। আমার কথা হচ্ছে, যদি ভোট কেন্দ্র পাহারা দিতে পারেন, নিজের সম্মান রক্ষা করতে পারেন, তাহলে মনোনয়ন নেন। ভোট কেন্দ্র পাহারা দিতে না পারলে মনোনয়ন কেনার দরকার নেই। ভোট চুরি হলে দাঁড়ায়ে থেকে চুরি ঠেকাতে বলেন, তাহলে চেয়ারম্যান কি করবে, মহাসচিব কি করবো? বাপের বেটা হলে যদি সাহস থাকে তাহলে ভোটে আসেন। না হলে মাঠে নামার দরকার নেই।

রাঙ্গা বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে সরকারের ভাবমূর্তি উদ্ধার হবে। নির্বাচন কমিশনের ইমেজ বাড়বে, অতীতের গ্লানি মুছে যাবে। 

প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, বিগত নির্বাচনের আগে সমঝোতার চেষ্টা করেছিলাম, ওরা প্রস্তাব দিল, ৫টি কাউন্সিলর দেবে। আমি সেই প্রস্তাব নিয়ে পার্টির চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা করতে গেলে তৎকালীন মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বাধা দেন। বাবলু ভাই তখন বলেছিলেন, আমরা এককভাবে ভোট করলে দশ-পনেরটি ওয়ার্ডে জিতে যাবো। আমাদের একজনও পাস করতে পারলো না।

তিনি বলেন, এখন প্রশ্ন উঠছে সুষ্ঠু নির্বাচনের। এ জন্য মাঠে থাকতে হবে, জনগণ সঙ্গে থাকে তাহলে শেষ পর্যন্ত কোনো ষড়যন্ত্র বাঁধা হতে পারে না।

ফিরোজ রশীদ বলেন, এবার দক্ষিণে সাবেক ভিপি আলমগীর সিকদার লোটনকে দেন, তাহলে ভাল কিছু আশা করা যায়। গতবার মিলনকে দিয়েছিলাম, বারবার তাকে দিয়ে পরীক্ষা করার কোনো মানে হয় না।

কাউন্সিলর মনোনয়ন প্রত্যাশী শেখ মাসুক রহমান মাসুম বলেন, যদি মহাজোট হয় তাহলে পরিস্কার ভাবে জানতে চাই। আর যদি জোট না হয় তাহলে সুষ্ঠু ভোটের গ্যারান্টি দিতে হবে। এমপিরা জোট করে নির্বাচন করবে আর কাউন্সিলররা সেই সুযোগ পাবে না, এটা হতে পারে না। 

প্রেসিডিয়াম সদস্য ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাতীয় পার্টির সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, অ্যাড. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, ভাইস চেয়ারম্যান জহিরুল আলম রুবেল প্রমুখ।

২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন ফরম উত্তোলন ও জমাদান অব্যহত থাকবে। জাপা মেয়র ও কাউন্সিলর পদে একক প্রার্থী দিতে চায়। একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী পাওয়া গেলে সমঝোতার ভিত্তিত্বে একক প্রার্থী চুড়ান্ত করা হবে।

টিএস/একেএস

আরও পড়ুন