• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০১৯, ০৯:১২ পিএম

চুয়াডাঙ্গায় ৩০০ টন ফসল ধারণ ক্ষমতায় প্রাকৃতির হিমাগার

চুয়াডাঙ্গায় ৩০০ টন ফসল ধারণ ক্ষমতায় প্রাকৃতির হিমাগার

 

চুয়াডাঙ্গা প্রান্তিক চাষিদের উৎপাদিত ফসলের কথা চিন্তা করে তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের প্রথম হাইব্রিড প্রাকৃতিক হিমাগার। মৌসুমের সময় এ জেলায় অনেক ফসল উৎপাদিত হয়। উৎপাদিত ফসল জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন পাইকারী বাজারে বিক্রির জন্য চলে যায়।

তবে অধিক ফলন হওয়ায় স্থানীয় বাজারে ভাল দাম পান না চাষিরা। ফলে অনেক চাষি নিরুপায় হয়ে পঁচনের ভয়ে উৎপাদিত ফসল কম দামে বিক্রি করেন। অনেক সময় সমিতির ঋণের টাকা পরিশোধ করতে এসব কাঁচাপণ্য নামমাত্র দামেও বিক্রি করতে হয়। এই কারণে কৃষকেরা প্রায় প্রতিটি মৌসুমে ফসলের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হন। মাঠ পর্যায়ে ক্ষতিগ্রস্ত এসব কৃষকদের কথা চিন্তা করেই তৈরি করা হয়েছে প্রাকৃতিক এ হিমাগারটি, এমনটাই বললেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ব ব্যাংকের সাহায্যে সোলার ই-টেকনোলজি প্রকল্পের আওতায় চুয়াডাঙ্গায় ইডকল কোম্পানি দেশে এই প্রথমবারের মতে হাইব্রিড সোলার হিমাগারটি তৈরি করেছে। প্রাকৃতিক এ হিমাগার তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে সৌর বিদ্যুৎ ও প্রাকৃতিক বাতাস। এছাড়া এর গঠন তৈরি করতে সাহায্যে নেওয়া হয়েছে বাঁশ, কাঠ, ইট, বালু ও সিমেন্টের। এ হিমাগারটি প্রায় ৩০০ টন ফসল ধারণক্ষমতা সম্পন্ন।

তাছাড়া হিমাগারটি চালানোর জন্য কোনো রকম কয়লা, গ্যাস বা ডিজেল চালিত বিদ্যুৎ সংযোগ লাগে না। বিদ্যুতের বিকল্প হিসেবে এখানে ব্যবহারের করা হচ্ছে সৌরশক্তি। যার ফলে প্রান্তিক কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত ফসল কম খরচে এ হিমাগারে সংরক্ষণ করতে পারবে।

ইডকলের সুপারভাইজার আনারুল হক জানান, সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে এ হিমাগারটি চলবে। এতে প্রান্তিক কৃষকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে প্রাকৃতিক এ হিমাগারটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এসসি/