• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১০, ২০১৯, ০৩:২৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১০, ২০১৯, ০৩:২৭ পিএম

সুস্থ হয়ে উঠছেন সুরকার আলাউদ্দিন আলী

সুস্থ হয়ে উঠছেন সুরকার আলাউদ্দিন আলী
সিআরপিতে চিকিৎসা নিচ্ছেন প্রখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ আলাউদ্দিন আলী- ছবি : জাগরণ

প্রখ্যাত গীতিকার, সঙ্গীত পরিচালক ও সুরকার আলাউদ্দিন আলী রাজধানীর অদূরে সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রের (সিআরপি) চিকিৎসায় ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন।

দীর্ঘ এক মাস চিকিৎসার পর তার শারিরীক অবস্থার উন্নতির দিকে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

শুক্রবার (১০ মে) সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) গিয়ে জানা গেছে, গত ৮ এপ্রিল (সোমবার) আলাউদ্দিন আলী শ্বাসনালীর ব্যথা ও পাজরের বাম পাশ নিস্তেজ হয়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে সিআরপিতে ভর্তি হন।

আলাউদ্দিন আলীর স্ত্রী মিমি আলাউদ্দিন জানান, প্রথমে খুব বিপাকে পড়েছিলাম। কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। পরে সিআরপিতে আনার পর অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিনি। এ জন্য আমি সিআরপির কাছে কৃতজ্ঞ। কারণ গুরুতর অসুস্থ হলেও খুব তাড়াতাড়ি তাকে সুস্থ করে তুলেছেন এখানকার চিকিৎসকরা। 

সিআরপির নিউরোলজি ইউনিটের আউটপুট ইনচার্জ ফারজানা শারমিন রুমানা জাগরণকে জানান, সুরকার আলাউদ্দিন আলীকে সিআরপির পক্ষ থেকে এক মাস চিকিৎসা দেওয়ার পর এখন কিছুটা সুস্থতা অনুভব করছেন। প্রথম যখন তাকে সিআরপিতে নিয়ে আসা হয় তখন তিনি অনেক অসুস্থ ছিলেন। তার শ্বাসনালী ও পাজরের বাম পাশ নিস্তেজসহ নানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন। আশা করছি বরেণ্য এই ব্যক্তি আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবেন। তবে তার জন্য তাকে আরও ছয় মাস সিআরপিতে চিকিৎসাধীন থাকতে হতে পারে। আর এই সময়ের মধ্যে তার চলাফেরাসহ দৈনন্দিন কাজের বিষয়গুলোতেও অনুশীলন করানো হবে বলেও জানান তিনি।

সিআরপির নির্বাহী পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের এখানে যে ধরনের সুবিধা দেওয়া সম্ভব আমরা সুরকার আলীউদ্দিন আলীকে সব ধরনের সুবিধা দিচ্ছি। তিনি আগের চেয়ে এখন অনেক সুস্থ। আশা করছি দেশবরেণ্য এই সুরকার দ্রুতই আবার আমাদের মধ্যে গান নিয়ে ফিরে আসবেন। 

আলাউদ্দিন আলী ১৯৫২ সালের ২৪ ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ি থানার বাঁশবাড়ী গ্রামের জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ওস্তাদ জাবেদ আলী ও ছোট চাচা সাদেক আলীর কাছে প্রথম সঙ্গীতে শিক্ষা নেন আলাউদ্দিন।  ১৯৭৫ সালে সঙ্গীত পরিচালনা করে বেশ প্রশংসিত হন। তিনি ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ সিনেমার জন্য ১৯৭৯ সালে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ৪৪ বছরের মিউজিক ক্যারিয়ারে প্রায় তিন শতাধিক চলচ্চিত্রের গানে সুর দিয়েছেন তিনি।

তার সুর করা গানের মধ্যে রয়েছে- ‘একবার যদি কেউ ভালোবাসতো’, ‘যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়’, ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ’, ‘ভালোবাসা যত বড় জীবন তত বড় নয়’, ‘দুঃখ ভালোবেসে প্রেমের খেলা খেলতে হয়’, ‘হয় যদি বদনাম হোক আরো’, ‘আছেন আমার মোক্তার, আছেন আমার ব্যারিস্টার’ ইত্যাদি কালজয়ী সব গান।

এসএমএম