দেশের ২০ জন তরুণ নির্মাতাদের নিয়ে শুরু হয়েছে ‘ওয়ার্কশপ এনকারেজিং ফিল্ম অ্যন্ড ওয়েব কন্টেন্ট অন সোশাল ইস্যু’ শীর্ষক দুই দিনের কর্মশালা।

কর্মশালার প্রথম দিনে প্রশিক্ষক ছিলেন একাধিক আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত ‘মাটির প্রজার দেশে’র পরিচালক এবং নির্বাহী প্রযোজক বিজন ইমতিয়াজ এবং আরিফুর রহমান ।

গত ১-৩ অক্টোবর তিনদিনের অনলাইন কর্মশালার পর ২ দিনের রেসিডেন্টশিয়াল ওয়ার্কশপের যোগ দেন অংশকারীরা। এই ওয়ার্কশপের প্রথম দিনে তারা বিভিন্ন গেমের মাধ্যমে তাদের ফিল্ম প্রোজেক্ট ডেভলপ করেন।

বিকালে চরকির চিফ অপারেটিং অফিসার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা রেদওয়ান রনির সেশনের মাধ্যমে শেষ হয় প্রথমদিনের কর্মশালা।

যেখানে রেদওয়ান রনি বাংলাদেশে ওটিটি প্লাটফর্মের সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেন। এরই সাথে আলোচনা করে ‘চরকি’র ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও। এ  সময় উপস্থিত ছিলেন চরকি’র কন্টেন্ট অফিসার আদর রহমান।

অংশগ্রহণকারীদের একজন তরুণ নির্মাতা সনেট বলেন, এই ধরনের ওয়ার্কশপে নেটওয়ার্কংয়ে অনেক সাহায্য করে। যা পরবর্তীতে চলচ্চিত্র নির্মান পথকে এগিয়ে দেয়। তরুণ নির্মাতা তাবাসুম ইসলাম তামান্না ‍জানায় এ ধরনের ওয়ার্কশপে অন্য নির্মাতাদের চিন্তাধারা সম্পর্কে জানা যায়। যা আমাদের সৃজনশীলতা ‍বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

এর আগে এউএস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের অ্যালমোনাই টাইস ইন্টারন্যাশনাল এক্সচেঞ্জ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালের নভেম্বরে কাজাকিস্থানে। যেখানে অংশ নেন বাংলাদেশের তিনজন; আঙুর নাহার মন্টি, এলিটা করিম ও শাহলা ইসলাম রোদশী সারাবিশ্বের ৩২ জন প্রতিনিধির সাথে। সেই সেমিনার থেকে এই ওয়ার্কশপের সূচনা ঘটে। যেখানে আয়োজিত গ্রান্ট কম্পিটশনে নির্বাচিত হয় এই কর্মশালাটি। এর সাথে সহযোগিতায় আরও রয়েছে ড্রিম অন ও ফাইনাল ড্রাফট।

অংশগ্রহণকারীরা ফাইনাল ড্রাফট থেকে এক বছরের সফটওয়ার পাচ্ছে উপহার হিসেবে। বাংলাদেশের পক্ষে ওয়ার্কশপের প্রজেক্ট লিড শাহলা ইসলাম রোদশী জানান, তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতারা প্রায়ই প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়। সেই অবস্থা সামলে সৃজনশীল কাজ করার আকাঙ্খাকে টিকিয়ে রাখার জন্যই এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।

সোমবার (২৫ অক্টোবর) এই কর্মশালাটি শেষ হবে অংশকারীদের ফিল্ম পিচিংয়ের মাধ্যমে। যেখানে উপস্থিত থাকবেন দেশের শীর্ষস্থানীয় ওটিটি প্লাটফর্মের প্রধানরা।

জাগরণ/এমএ/এসএসকে