ঢাকাই সিনেমার অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমু। তবে জীবিত অবস্থায় নয়, তার বস্তাবন্দি লাশ । এ যেন এক নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটে গেল তার জীবনে।

রোববার ১৬ জানুয়ারি থেকে হঠাৎ করেই নাকি পাওয়া যাচ্ছিল না এই অভিনেত্রী। তাই খোঁজ না পেয়ে তার ছোট বোন ফাতেমাসহ পরিবারের সদস্যরা কলাবাগান থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর সোমবার ১৭ জানুয়ারি দুপুরে কেরানীগঞ্জ থেকে শিমুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশের কাছে প্রাথমিকভাবে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন শিমুর স্বামী এবং সহযোগী তার বন্ধু। তবে পুলিশের এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত হতে পারেনি শিমুর বোন। মামলাটির এখন তদন্ত চলছে। এর আগে কিছুই বলা যাচ্ছে না। তবে চিত্রনায়িকা শিমু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব ছিলেন। তার ফেসবুক থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ি।

শুক্রবার ১৪ জানুয়ারি রাত ২টা ২২ মিনিটে একটি গাড়িতে চড়ে যাওয়ার সময় ভিডিও ধারণ করেন তিনি। যা তার ফেসবুকে পোস্টও করেন তিনি। ভিডিওতে দেখা যায়, হাইওয়ের রাস্তা দিয়ে যাওয়া চলন্ত গাড়িতে গান বাজছে। রাস্তার দুই ধার ও লাইট দেখে গুগল ইমেজ থেকে মিলিয়ে ধারণা করা যায় এটা মাওয়া রোড। এছাড়া আর কিছু দেখতে পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে ঠিক একই দিনের সকাল ১০টা ৫ মিনিটে শিমুসহ একটি বিড়ালের সঙ্গে তিনটি ছবি পোস্ট করেছেন। ক্যাপশনে লিখেছিলেন ‘রোমিও’।

এর আগে ৮ জানুয়ারি অভিনেত্রী শিমু বিড়ালের সঙ্গে ভিডিও পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখেন, ‘একটা পশু মানুষের কত আপন হয় আর ………না লিখি ‘শুভ সকাল’।

তবে তিনি শেষ যে পোস্টটি করেছিলেন তা হচ্ছে আসন্ন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একজন সেলিব্রেটির গণমাধ্যমের নেওয়া সাক্ষাৎকার। এরপর তিনি আর কোনো পোস্ট করেনি।

তারপরের ঘটনা সবারই জানা। হুট করে ঠিক কী হলো অভিনেত্রী শিমুর জীবনে। তা এখন মামলার তদন্তে উঠে আসা রিপোর্ট দেখেই বলা যাবে। ইতোমধ্যেই এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেছেন একাধিক তারকা। সেই তারকাসহ সবাই এখন এর সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন।

ইউএম