• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২২, ০৫:১১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২২, ০৫:১১ পিএম

ভোটের আগে-পরের ঘটনায় মুখ খুললেন জায়েদ খান

ভোটের আগে-পরের ঘটনায় মুখ খুললেন জায়েদ খান

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে জায়েদ খান বলেছেন, সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পরও আমার সঙ্গে অন্যায়-অবিচার করা হয়েছে। অবৈধভাবে আরেকজনকে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়েছে। এগুলো সবই আগে থেকেই সাজানো। 

জায়েদ খান বলেন, সংগঠনের পরিপন্থী হয়ে গতকাল শপথ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে আবারও প্রমাণিত হলো সব সময় সত্যের জয় হয়। আমি হাইকোর্টে বিচার পেয়েছি। তারা নির্বাচনের আগে থেকেই আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কথা বলেছেন। সত্যের জয় কেউ আটকাতে পারেন না। আমি অধিকার ফিরে পেয়েছি।
 
রোববার চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শপথ নিয়ে দায়িত্ব নেন ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণ। ইলিয়াস কাঞ্চন ভোটে জয়ী হয়েছেন। কিন্তু সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী জায়েদ খানের বিরুদ্ধে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত শনিবার নির্বাচনী আপিল বিভাগ কারণ দেখিয়ে জায়েদের প্রার্থিতা বাতিল করে।

জায়েদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে যত অভিযোগ ছিল, সবই মিথ্যা। সাধারণ সম্পাদক হতে না পেরে নিপুণ আমার বিরুদ্ধে মনগড়া অভিযোগ করেছেন। আমার বিরুদ্ধে তাদের চক্রান্ত নির্বাচনের দিন থেকে নয়, এটা শুরু হয়েছে আরো আগে। আমাদের একজন অভিনেত্রী মারা গেলেন, তখন আমার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করতে চেয়েছেন। আমি যে অভিযুক্ত, সেটা নিয়ে পোস্টারিং পর্যন্ত করতে চেয়েছিলেন। এসব তাদের চাল।

নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন অভিযোগ করে জায়েদ খান বলেন, পুনরায় ফলাফল ঘোষণা করার পর নিপুণ আপা সিদ্ধান্ত মেনে নিলেন। পরে সোহানুর রহমান সোহান ও মোহাম্মদ হোসেন আমাকে পদ থেকে সরানোর জন্য মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু মন্ত্রণালয় কোনো দিকনির্দেশনা দেয়নি। তারা বলেছে আমাদের সংবিধানের গঠনতন্ত্রমতে সিদ্ধান্ত নিতে। মেয়াদ শেষ হওয়া আপিল বিভাগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদের সঙ্গে মিটিং করে আমাকে স্থায়ীভাবে বাদ দেওয়ার পাঁয়তারা করছিল।

জায়েদ বলেন, আমাদের চেয়ার সেবামূলক একটি পোস্ট। অথচ এই চেয়ারের জন্য আমাকে বলা হলো খুনি, মিথ্যাবাদী, নির্বাচন কমিশনারদের কিনেছি, টাকা দিয়ে ভোট কিনেছি। শিল্পী কি দুই হাজার টাকায় বিক্রি হয়? কেন আমি এগুলো করতে যাব? কী আছে এই চেয়ারে, এটা নিয়ে এত কাদা-ছোড়াছুড়ি? নিপুণের উচিত আমার গলায় মালা পরিয়ে শুভকামনা জানানো। আমরা সবাই শিল্পীদের স্বার্থে কাজ করতে চাই।

জাগরণ/ইউএম