• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৩, ২০২০, ০৬:৩৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১৩, ২০২০, ০৬:৫৭ পিএম

ফেসবুক থেকে

এবারের বইমেলা নিয়ে কিছু পরামর্শ

এবারের বইমেলা নিয়ে কিছু পরামর্শ

বইমেলা বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে যেভাবে ভাবা সম্ভব:

১. মেলা শুরুর তারিখ

দুই সপ্তাহ পিছিয়ে ১৫ই ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করা।

এতে ১৩ তারিখ পহেলা ফাল্গুন ও ১৪ তারিখ ভালোবাসা দিবসের ভিড়কে এড়ানো যাবে এবং শীত কমে আসায় করোনার প্রকোপও অনেক কমে যাবে।

২. মেলা শেষের তারিখ

এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ৬ই মার্চ শনিবার পর্যন্ত নিয়ে শেষ করা।

এতে মেলার মোট ব্যাপ্তি ২০ দিন হবে এবং ৭ই মার্চের আয়োজনের ভিড় এড়ানোও সম্ভব হবে।

৩. প্রতিদিন মেলা শুরু ও শেষের সময়

শুরু সকাল ১১টা এবং শেষ সন্ধ্যা ৭টা। এতে বিকেলের ভিড় এড়াতে অনেকেই সকালের দিকে মেলায় যাবেন। ফলে বিকেলে ক্রেতা-দর্শকের চাপ কমে যাবে।

আর সন্ধ্যা ৭টায় মেলা বন্ধ করায় অফিস শেষ করে মেলায় আসা যেহেতু সম্ভব হবে না, সুতরাং মেলার জন্যই কর্মজীবীদের দু-একদিন সময় বের করতে হবে, নতুবা ছুটির দিনে আসতে হবে।

৪. প্রবেশ টিকিট রাখা

১৫ টাকা করে প্রবেশ টিকিট রাখতে হবে। টিএসসি এবং দোয়েল চত্ত্বর থেকে মেলাগামী রাস্তার পাশে ১০ ফুট পরপর সিম্পল চেয়ার-টেবিলে বসে টিকিট দেওয়ার অন্তত ৫০টা কাউন্টারের ব্যবস্থা রাখা। ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সষ্টিটিউটের পাশ দিয়ে আরেকটি প্রবেশপথ উন্মুক্ত করা।

টিকিট কেটে মেলায় প্রবেশের সময় পুরাতন মাস্কটা ফেলে টিকিটের সমপরিমাণ মূল্যের একটা মাস্ক ও ২৫০ এমএল পানি ক্রেতা-দর্শককে দিলে এটা সহজ হবে। টিকিট সাধারণ জনস্রোতকে নিয়ন্ত্রণে ভালো ভূমিকা রাখে। এতে প্রতিদিন শুধুই ঘুরতে আসা দর্শকের সংখ্যা হ্রাস পাবে। তাছাড়া এতে করে মেলায় কতজন প্রবেশ করছে সেই তথ্যও জানা যাবে, যেটা পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা সম্ভব হবে।

আর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের পাশ দিয়ে আরেকটি প্রবেশপথ উন্মুক্ত করা হলে টিএসসি ও দোয়েল চত্ত্বরের ভিড় কমে যাবে।

৫. স্টল নির্ধারণ

এবার শুধু সৃজনশীল প্রকাশকদের জন্য স্টল বরাদ্দ দেওয়া। তাদের বাইরে বাংলা একাডেমি, শিশু একাডেমি, শিল্পকলা একাডেমি, ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের মতো কিছু প্রতিষ্ঠান ছাড়া আর কোনো স্টল বরাদ্দ না দেওয়া। খাবার দোকান, চায়ের দোকান ইত্যাদি এবারে একেবারেই না রাখা। মোট ইউনিট ৫০০ তে নিয়ে আসা, যেটা গতবার ছিল প্রায় ৮০০।

৬. মেলার নকশা ও স্টল বিন্যাস

দুই ইউনিট, তিন ইউনিট ও প্যাভিলিয়ন এর মধ্যেই স্টলের সাইজ সীমাবদ্ধ করা। সিঙ্গেল ইউনিট ও চার ইউনিটকে বাদ দেওয়া। প্রত্যেকটি স্টলের মাঝে অন্তত একটি করে সিঙ্গেল ইউনিটের সমপরিমাণ জায়গা ফাঁকা রাখা।

এতে মেলার ষ্টলগুলোর মাঝে যথেষ্ট জায়গা থাকায় গা ঘেঁষে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা কমে যাবে।

৭. পরিশেষে

অমর একুশে গ্রন্থমেলা এই দেশের মানুষ গড়ে তুলেছে, কোনো সরকার বা রাষ্ট্র নয়। মানুষ গড়ে তোলার পর সরকার তার উপর খবরদারী ও কর্তৃত্ব নিয়ে হাজির হয়েছে এবং অনেক বছর ধরেই তারা আছে। সেটাও একভাবে মানিয়ে গেছে এবং সেটা তারা থাকুন। কিন্তু এটাকে নিয়ে নয়-ছয় ভাবনা পরিত্যাগ করুন।

আমাদের বইমেলা পৃথিবীর মধ্যে অনন্য। এমন মেলার চরিত্র আর কোনো দেশের নেই। এটাকে মূল্যবান না করতে পারলেও ধ্বংস করার অধিকার সরকার বা রাষ্ট্রের বা কোনো প্রতিষ্ঠানের নেই।