• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৭, ২০২১, ০১:০৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২১, ১১:১৩ পিএম

যুক্তরাষ্ট্রে অস্থিরতা

গণতন্ত্রের ওপর পরিকল্পিত আক্রমণ

গণতন্ত্রের ওপর পরিকল্পিত আক্রমণ

যারা ক্যাপিটলে (সংসদ ভবনে) তাণ্ডব করেছেন, পুলিশের ওপর আক্রমণ চালিয়েছেন, ভবনের ভেতর ভাঙচুর, নির্বাচিত কর্মকর্তাদের অফিস দখল ও যৌথ অধিবেশন বন্ধ করেছেন তাঁদেরকে ‘প্রতিবাদকারী’ বলার অর্থ হছে এটি স্বদেশীয় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে পরোক্ষ অনুমোদন দেয়া। গণমাধ্যমের উচিত এদের সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করা। এদের উচ্ছৃঙ্খল জনতা বলাও যথেষ্ট নয়।

যারা রাজনৈতিক মতাদর্শের নামে সহিংসতা করে, তাদের সন্ত্রাসী নামেই ডাকা হয়। তারা এর ভিন্ন কিছু নয়। গণমাধ্যমকে অবশ্যই স্পষ্ট করে বলতে হবে যে এটি একটি সশস্ত্র বিদ্রোহ এবং এটি পূর্ব পরিকল্পিত, যার মূল হোতা ডোনাল্ড ট্রাম্প। এটি শুধুমাত্র একটি ভবনের ওপর স্বতঃস্ফূর্ত হামলা নয়, গণতন্ত্রের ওপরে পরিকল্পিত আক্রমণ। ট্রাম্পকে অবশ্যই এর দায় নিতে হবে, সেই জন্যে দ্ব্যর্থহীনভাবে তার নিন্দা জানাতে হবে এবং ভবিষ্যতে তার বিচার হওয়া উচিত। তার সর্বশেষ ভিডিওবার্তা থেকে বোঝা যায় তিনি সহজে দমবার পাত্র নন, বরং উল্টো মিথ্যার জন্ম দিচ্ছেন।

সকল সহিংসতা, আরো যা ঘটছে তারপরও যদি কংগ্রেসের কোনো সদস্য মিথ্যার ওপর অবিচল থেকে তাদের তথাকথিত আপত্তি জারি রাখেন, তাহলে বলতে হয় তারা এই কুকর্মের সহকারীর চেয়েও বেশি কিছু, উসকানীদাতা। যারা গণতন্ত্রের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে এসব করছেন, তাদের নাম আমাদের খুব ভালো করে মনে রাখা দরকার।

(লেখকের ফেসবুকে প্রকাশিত ইংরেজি স্ট্যাটাস থেকে অনূদিত)