• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ১৪, ২০১৯, ০৮:০৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৯, ০৬:১২ পিএম

‘আগামী ৭ দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ পেতে পারে বার্ন ইনস্টিটিউট’

‘আগামী ৭ দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ পেতে পারে বার্ন ইনস্টিটিউট’

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আগামী ২০ মার্চের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার জোর সম্ভাবনা আছে। ইনস্টিটিউটে ৪ দশমিক ৮ মেগাওয়াট বিদ্যুতের জন্য লাইন সংযোগ দেওয়া হবে। ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট এই ইনস্টিটিউট প্রায় ৫ মাস আগে গত ২৪ অক্টোবর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ইনস্টিটিউটের উপদেষ্টা অধ্যাপক সামন্ত লাল সেন বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে দৈনিক জাগরণকে বলেন, খুব আশায় আছি যে, আগামী ২০ মার্চের মধ্যে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হবে।

উদ্বোধন হওয়ার পর থেকে বার্ন ইনস্টিটিউটের যত ধরনের অগ্রগতি হচ্ছে, এর মধ্যে এটি সবচেয়ে বড়। এটি না হলে ইনস্টিটিউট তার আসল রূপ দেখাতে পারছে না। কেননা, বিদ্যুৎ ছাড়া চিকিৎসার ভারী ভারী যন্ত্রপাতি পরিচালনাসহ সার্বিক কাজ নিশ্চিত বাধার মুখে।

 

সামন্ত লাল সেন বলেন, অনেক কাজ এখনও রয়ে গেছে। চিকিৎসা যন্ত্রপাতিগুলো আগে দেখতে হয়, প্রি-শিপমেন্ট ইন্সপেকশন করা লাগে। এরপর যন্ত্রগুলো বুঝে নিতে হয়। 

তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন এবং ডিপিডিসি মিলে বিদ্যুতের জটিলতা দূর করেছে। এখন বিদ্যুৎ সংযোগ লাইনের কাজ শেষ দিকে। এটা হলে ইনস্টিটিউটের কাজ বহুদূর এগুবে। ১৩২ কেভি থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের সাব স্টেশনে সংযোগ দেয়া হবে। সেখান থেকে ৩৩ কেভি লাইনের মাধ্যমে বার্ন ইনস্টিটিউটকে বিদ‌্যু‍ৎ দেয়া হবে।

ইনস্টিটিউট সংশ্লিষ্টরা জানান, বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার পর ইনস্টিটিউটের জন্য আনা যন্ত্রপাতি পরীক্ষা করা হবে, এরপর জনবল নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হবে।

বিদ্যুতের লাইন মেইন গেট পর্যন্ত আসবে। পরে মেশিন ও লিফট যে প্রতিষ্ঠানগুলো সরবরাহ করছে তারাই পরীক্ষা করে ঠিক করে দেবে। ইনস্টিটিউটে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে মেশিনগুলো চালানো হবে।

বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির অত্যাধুনিক চিকিৎসা সেবা সম্পন্ন ১৭ তলা ভবন নির্মাণে ব্যয় ৯১২ কোটি টাকা। ২০১৬ সালের এপ্রিলে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ২৯ জুন থেকে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে এই ইনস্টিটিউট তৈরির কাজ চলছে।

৬ লাখ ৬২ হাজার বর্গফুট আয়তনের এই ইনস্টিটিউট বার্ন এবং প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট- এ দুই ইউনিটে বিভক্ত। প্রতিটি ফ্লোরের আয়তন ৩৬ হাজার বর্গফুট। ১৬টি লিফট ও পাঁচটি সিঁড়ি থাকছে এই ১৭ তলা ভবনে। ২৪টি ডাবল বেডের কেবিন এবং ২৮টি সিঙ্গেল বেডের কেবিনের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। এই ইনস্টিটিউটে একসঙ্গে ১০ জন রোগীর অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা থাকবে। দূরের রোগীদের সরাসরি ইনস্টিটিউটে আসার সুবিধার জন্য ছাদে থাকবে হেলিপ্যাড।

বিএনপি-জামায়াত জোট ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন বর্জনের পর দেশব্যাপী শুরু হয় পেট্রোল বোমা হামলা। শত শত মানুষ সেসময় শুধু পুড়েই মরেনি, চিরতরে পঙ্গুত্বও মেনে নিতে হয়েছে অনেককে। ওই সময় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে আগুনে পোড়া মানুষদের সবার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে পূর্ণাঙ্গ বার্ন ইউনিট স্থাপনের পরিকল্পনা নেয় সরকার।

আরএম/এফসি