• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২১, ২০১৯, ০৮:১৮ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২১, ২০১৯, ০৮:১৮ এএম

জানুয়ারি থেকে জুন 

প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ৪ জন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত

প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ৪ জন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত

ঢাকায় প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ৪জন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাসের ২০ তারিখ পর্যন্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে আক্রান্তের এ সংখ্যা বেরিয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ন্যাশনাল হেলথ ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের তথ্য- ১৯ জুন বিকাল থেকে ২০ জুন বিকাল পর্যন্ত ৪৫জন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন- ২০১৮ সালে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছিল ১০ হাজার জনেরও বেশি, যা ১৯৯৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল- এই ১৯ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল। কিন্তু চলতি বছর যে হারে আক্রান্ত বাড়ছে, তা অব্যাহত থাকলে গত বছরকে ছাড়িয়ে যাবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ন্যাশনাল হেলথ ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ ও চিকিৎসক আয়েশা আক্তার দৈনিক জাগরণকে জানান, চলতি বছরের ২০ জুন পর্যন্ত ২জন ডেঙ্গুজ্বরের রোগী মারা গেছেন। একই সময়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭০৭ জনে। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১১৮জন, বাকিদের মধ্যে দুই জনের মৃত্যু ও ৫৮৭ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা কেন্দ্রের প্রাক্তন পরিচালক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান একটু ভিন্নভাবে বলছেন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগী বৃদ্ধির বিষয়ে। তিনি দৈনিক জাগরণকে বলেন, ডেঙ্গু বেড়ে যাচ্ছে বা বাড়বে- বলা সঠিক নয়। গত বছর যেমনি আক্রান্তদের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরের তীব্রতা বেশি ছিল, যে কারণে রোগীরা হাসপাতালমুখী হয়েছেন বেশি, সে অনুযায়ী- লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। তাই মনে হয়েছে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা গত বছর রেকর্ড সংখ্যক। আসলে গত বছর যে পরিমাণ রোগী হাসপাতালে এসেছে, অন্যবার তা হয়নি। চিকিৎসকের ব্যক্তিগত চেম্বারেও অনেকে চিকিৎসা গ্রহণ করেছিলেন। এ বছরও একই বিষয় প্রযোজ্য।

ডেঙ্গু রোগীদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। এর পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিনকে বৃহস্পতিবার দুপুরে পাওয়া যায়নি। 

হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের একজন অধ্যাপক নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, এবার রোগী আসার হার একটু বেশি মনে হচ্ছে। গতবারও বেশি ছিল। সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের প্রস্তুতি নেয়া আছে, সে অনুযায়ী কাজ চলছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকেও বিশেষ নির্দেশনা দেয়া আছে।

আরএম/টিএফ