• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০১৮, ০৬:১৭ পিএম

হিজড়াসহ ২৮৫ রোহিঙ্গা এইডসে আক্রান্ত, ১৬ জনের মৃত্যু 

হিজড়াসহ ২৮৫ রোহিঙ্গা এইডসে আক্রান্ত, ১৬ জনের মৃত্যু 
বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী, ফাইল ফটো


কক্সবাজারে আশ্রয়রত রোহিঙ্গাদের ২৮৫ জনের দেহে এইচআইভি বা এইডস জীবাণুর উপস্থিতি পেয়েছে সরকার। এর মধ্যে ১৬ জন মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে একজন হিজড়া সদস্য রয়েছেন। এ হিসাব- ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে ২০১৮ সালের অক্টোবর পর্যন্ত। 

স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ ডা. আয়েশা আক্তার দৈনিক জাগরণকে জানান, আক্রান্ত ২৮৫ জনের মধ্যে ১১৪ জন নারী, ১৭০ জন পুরুষ। ১১৪জন নারীর মধ্যে ১৫ বছর বয়সের নিচে ২১ জন কন্যাশিশু ও ১৭০ জন পুরুষের মধ্যে ২২ জন শিশু রয়েছে।

অন্যদিকে, মৃত্যুবরণকারী ১৬ জনের মধ্যে ৭ জন নারী, ৬ জন পুরুষ ও ৩ জন কন্যাশিশু।

মিয়ানমারের জনসংখ্যা পাঁচ কোটি ২০ লাখের মধ্যে এইচআইভি বা এইডস নিয়ে বসবাসকারী দুই লাখ ৩০ হাজার বলে তথ্য আছে জাতিসংঘের এইডসবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইডসের কাছে। এ হিসাবে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ১০ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে এইচআইভি বা এইডস নিয়ে বসবাসকারী রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় সাড়ে চার হাজার।

ইউএনএইডসের সর্বশেষ তথ্য বলছে, ২০১৬ সালে বাংলাদেশে নতুনভাবে দেড় হাজার মানুষ সংক্রমিত হয়েছিল, মিয়ানমারে ১১ হাজার।

সদ্য অবসরে যাওয়া জাতীয় এইডস নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ইহতেশামুল হক চৌধুরী বলেছেন, বড় চ্যালেঞ্জ এইচআইভি সংক্রমিতদের শনাক্ত করা।

২০১৭ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে যে হারে রোহিঙ্গা এইডস রোগী শনাক্ত হতো, সে হারে এখন হচ্ছে না। তখন প্রতিদিনই ৫ থেকে ১০ জন শনাক্ত হতো। এর মধ্যে কেউ কেউ মিয়ানমারে থাকতেই এতে আক্রান্ত ছিলেন, কেউ বাংলাদেশে এসেও আক্রান্ত হয়েছেন। ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে ২০১৮ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ১৪০ জনকে শনাক্ত করা হয়েছিলো। সরকারের আশঙ্কা ছিল- রোহিঙ্গা শিবিরের আশপাশে বসবাসরত স্থানীয় বাংলাদেশিদের নিয়ে। সে আশঙ্কা এখন জোরালো না হলেও হাল ছেড়ে দেয়নি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ দৈনিক জাগরণকে বলেন, রোহিঙ্গা শিবিরে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীদের এইচআইভি বিষয়ে বিশেষ নজর রাখতে বলা হয়েছে।

আরএম/বিএস