• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯, ০৭:১১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯, ০৭:১১ পিএম

‘সরকারের মূল দর্শন মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়া’

‘সরকারের মূল দর্শন মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়া’
অনুষ্ঠানে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপিসহ অন্যান্যরা-ছবি : জাগরণ

মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়াই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের মূল দর্শন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ হোটেলে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় ফার্মাসি কাউন্সিল অব বাংলদেশ আয়োজিত 'পলিসি ডায়ালগ অন গুড ফার্মাসি প্রাকটিস ইন হসপিটাল ফার্মাসি সেটিংস অব বাংলাদেশ' শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের মূল দর্শন মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়া। তারই অংশ হিসেবে সারাদেশে এই সরকার ১৪ হাজারের বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেছে। যার প্রত্যেকটি থেকে ৬ হাজার জনকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ৩২ প্রকারের ওষুধও বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাধ্যমে তৃণমূলে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।

জাতীয় অর্থনীতিতে ফার্মাসিটিক্যাল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের দক্ষ ফার্মাসিস্টরা স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। ফার্মাসিটিক্যাল সেক্টরকে কাজে লাগাতে পারলে দেশের অর্থনীতির ভিত আরও মজবুত হবে। এ সময় তিনি সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে ডাক্তার ও ফার্মাসিস্টদের একযোগে কাজ করার আহবান জানান।

স্পিকার বলেন, বিশ্বব্যাপী ওষুধের গবেষণা, উৎপাদন, বিপণন এবং প্রয়োগের ক্ষেত্রে ফার্মাসিস্টরা তাদের নিরলস প্রচেষ্টা, ঐকান্তিক শ্রম এবং মেধা প্রয়োগের মাধ্যমে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশে বর্তমান সরকারের যুগোপযোগী সিদ্ধান্তের ফলে ওষুধশিল্পের বিকাশে এক আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। বর্তমানে দেশের চাহিদার ৯৮ ভাগ ওষুধ দেশে উৎপাদন হচ্ছে এবং বিশ্বের অনেক দেশে ওষুধ রফতানি হচ্ছে।

বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট এবং স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় মন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি।

অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস প্রফেসর ড. এ কে আজাদ চৌধুরী, ডিরেক্টরেট জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসেস এর মহাপরিচালক অধ্যাপক  ড. আবুল কালাম আজাদ, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশে আবাসিক প্রতিনিধি বর্ধন জং রানা, চিটাগাং মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. ইসমাইল খান, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. খান আবুল কালাম আজাদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শহিদুল্লাহ শিকদার, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ এর ভাইস প্রেসিডেন্ট মোসাদ্দেক হোসেন বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ড. মুস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সুভাষ সিংহ রায়, বিশিষ্ট ফার্মাসিস্ট সৈয়দ ইশতিয়াক হোসেনসহ দেশবরেণ্য ফার্মাসিস্টগণ উপস্থিত ছিলেন।

এইচএস/এসএমএম

আরও পড়ুন